দেশে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে বান্দরবান জেলায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। হঠাৎ কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৯ এবং এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ২২.০৭ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯২.৫১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। উৎপত্তিস্থল থেকে বান্দরবান সদরের দূরত্ব প্রায় ২৮৬ কিলোমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বান্দরবান কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল ভূমিকম্পের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করেই পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। মানুষ আতঙ্কে ঘরবাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। তবে কম্পনটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।”
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিখটার স্কেলে ৪-এর নিচের ভূমিকম্প সাধারণত হালকা মাত্রার হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে। তবে বাংলাদেশ যেহেতু ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত, তাই এ ধরনের ঘনঘন কম্পনকে অবহেলা করার সুযোগ নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি কয়েকটি সক্রিয় ভূমিকম্প রেখার কাছাকাছি অবস্থান করায় এখানে মাঝেমধ্যেই মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হতে পারে। তারা ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প সহনশীল নকশা অনুসরণ এবং জরুরি প্রস্তুতি জোরদারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
আতঙ্ক নয়, প্রস্তুতির পরামর্শ
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত না হয়ে খোলা জায়গায় অবস্থান নেওয়া, ভারী বস্তু থেকে দূরে থাকা এবং সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করাই সবচেয়ে নিরাপদ।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিকবার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সাজু/নিএ
সর্বশেষ খবর