নবম জাতীয় পে–স্কেলে গ্রেড সংখ্যা নির্ধারণ নিয়ে কমিশনের সদস্যদের মধ্যে তিন ধরনের ভাবনা রয়েছে। আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিতব্য সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার কথা রয়েছে , তবে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ও ছুটি থাকায় বৈঠকের তারিখ পরবর্তন হতে পারে বলে জানা গেছে।
পে–কমিশনের একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ২০টি গ্রেড চালু রয়েছে। কমিশনের একাংশের মত হলো, বিদ্যমান ২০টি গ্রেড অপরিবর্তিত রেখে যৌক্তিক হারে বেতন ও ভাতা বাড়ানোর সুপারিশ করা উচিত। তবে কমিশনের আরেকটি অংশ এ প্রস্তাবে কড়া আপত্তি জানিয়েছে। তাদের মতে, গ্রেড সংখ্যা ২০টি থেকে কমিয়ে ১৬টিতে নামিয়ে আনা প্রয়োজন।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, গ্রেড সংখ্যা ১৬টি করতে অনেক সদস্য একমত হলেও সদস্যদের আরেকটি অংশ চাচ্ছে নবম পে-স্কেলের গ্রেড সংখ্যা ১৪টি করা হোক।
এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, গ্রেড সংখ্যা অধিক হওয়ায় বেতন বৈষম্য বেশি হতে পারে। এজন্য গ্রেড সংখ্যা কমানোর পক্ষে তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পে–কমিশনের একজন সদস্য জানান, কমিশনের ভেতরে এখনো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি। এর মধ্যে গ্রেড সংখ্যা নির্ধারণ অন্যতম। গ্রেড আগের মতোই রাখা হবে নাকি কমানো হবে—এ নিয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। গ্রেড সংখ্যা চূড়ান্ত করতে কমিশনের সব সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন হবে।
বুধবারের সভায় কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নানা বিষয়ে আলোচনা হলেও মূল গুরুত্ব থাকবে বেতন গ্রেডের সংখ্যা এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণে। এসব বিষয় চূড়ান্ত হলে কমিশন দ্রুত তাদের সুপারিশ জমা দিতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে নবম পে–স্কেলের প্রস্তাবনা প্রণয়নের জন্য পে–কমিশন গঠন করা হয়। ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কর্মচারীরা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন।
কুশল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর