পরকীয়া, প্রেমিকের হাত ধরে উধাও দুই সন্তানের জননী!

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ০৯:৩৬ এএম

চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরে পরকীয়া করে প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী উধাও। প্রেমিকের হাত ধরে রুজিনা বেগম নামের ওই গৃহবধূ পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে প্রবাসীর পরিবার।

ঘটনাটি ঘটেছে ৫ই অক্টোবর হাইমচরের উত্তর আলগী গ্রামের শেখবাড়িতে। উভয়ের পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাঁদপুর হাইমচর উপজেলা উত্তর আলগী গ্রামের মৃত আবুল হক শেখের পুত্র নুরু শেখের সঙ্গে ২০০৫ সালের ৭ই নভেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলার চর-রামপুর গ্রামের রুজিনা বেগমের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের রিয়াজুল আহমেদ রাতুল (১০) নামের এক ছেলে ও ফাতেমা আক্তার নূপুর (৫) নামের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। নুরু শেখ জীবিকার প্রয়োজনে ২০১২ সালে কাতার চলে যান।

নুরু শেখ বিদেশ যাওয়ার পর থেকে রুজিনা বেগমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কমলাপুর গ্রামের সাজু মিজির পুত্র কাঠমিস্ত্রি সবুজ মিজির পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের জের ধরেই গত ৫ই অক্টোবর বিকালে সবুজের হাত ধরে রুজিনা পালিয়ে যায়।

রুজিনার প্রবাসী স্বামী নুরু শেখ জানান, সংসারের অভাব দূর করতে এবং স্ত্রী-সন্তানের সুখের কথা ভেবে ২০১২ সালে বিদেশ চলে যাই। সেখানে নির্মাণশ্রমিকের কাজ করে মাসে মাসে ২০ হাজার টাকা করে পাঠিয়েছি। প্রবাসে থাকাকালে বেশিরভাগ সময়ে স্ত্রীর মোবাইলে ফোন দিয়ে তাকে ব্যস্ত পাই। কার সঙ্গে কথা বলছো জানতে চাইলে সে বলতো তার বাপের বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলেছে। ৫ তারিখে শুনতে পাই আমার স্ত্রী সবুজের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে ১৩ তারিখে আমি দেশে চলে আসি।

নুরু শেখ আরো জানান, সে আমার নিষ্পাপ দুটি সন্তান রেখে প্রেমিকের হাত ধরে চলে গেছে। যাওয়ার সময় প্রায় ৫ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারগুলো নিয়ে গেছে। এখন দুটি সন্তান নিয়ে আমাকে পথে বসতে হবে।বিষয়টি আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি।

রুজিনার বড় ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াজুল আহমেদ রাতুল বলেন, আমার মা সারা দিন কার সঙ্গে জানি কথা বলতো। আমি জিজ্ঞাসা করলে মা আমাকে মারতো।

রাতুল আরো জানান, ফার্নিচারের দোকানের সবুজ কাকা আমারে দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মার কথা জিজ্ঞাসা করতো। আমারে টাকা দিতো, খাবার কিনে দিতো। ওইদিন বিকালে মা আমাদের ঘুমিয়ে রেখে চলে যায়।

২নং আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন দুলাল বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। এটা দুঃখজনক একটি ঘটনা। এ বিষয়ে তাদের আইনের সহায়তা নিতে পরামর্শ দিয়েছি। সূত্র: মানবজমিন

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: