হাজার বছর ধরে উপন্যাসের 'আবুল' এবার নাটোরে!
নাটোরের লালপুরে প্রথম স্ত্রী মুক্তিয়ারাকে পিটিয়ে হত্যার এক বছর পর ২য় স্ত্রী রত্না বেগমকে(২০) পুড়িয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী হাফিজুর রহমান। এমন অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
পাষন্ড হাফিজুর লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে। স্ত্রী রত্না বেগম একই উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের কেশবপুরাড়ীয়া গ্রামের আনছার আলীর মেয়ে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৯ মাস আগে আব্দুলপুর গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে হাফিজুর রহামনের সাথে কেশবপুরাড়ীয়া গ্রামের আনছার আলীর মেয়ে রত্নার বিয়ে হয়। হাফিজুর ১ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে রত্না বেগমকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পরই হাফিজুর স্ত্রী রত্না কাছে আরও ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন। রত্না পরিবারের পক্ষ থেকে এই যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রত্নার উপর নির্মমভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকেন হাফিজুর।
টাকা না পেয়ে হাফিজুর চলমান রকমারী নির্যাতনের এক পর্যায়ে গত ১৮ নভেম্বর রাত ৯ টার দিকে রত্নার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। রত্নার আর্ত চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে রত্নাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী জানায়, প্রথম স্ত্রী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মোশাররফ হোসেনের মেয়ে মুক্তিয়ারা খাতুনকে পিটিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় হাফিজুরের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
রত্নার মামা আলেক আলী জানান, তার বোনের অভাবের সংসার। ওর চাচারা এবং আমরা মামারা মিলে বোনের একমাত্র সন্তান রত্নাকে লালন পালন করে বিয়ে দিয়েছিলাম। হাফিজুরকে বিশ্বাস করে ভাগ্নির সুখের কথা ভেবে ১ লাখ টাকাও আমরা যৌতুক দিলাম। কিন্তু হাফিজুর আরও ৩ লাখ টাকার জন্য আমার ভাগ্নিকে পুড়িয়ে মারলো। আমরা হাফিজুরের ফাঁসি চাই।
লালপুর থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, এবিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লাশের ময়না তদন্ত শেষে একটি ইউডি মামলা হবে। হত্যার অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, তার পাওয়া তথ্য মতে রত্না স্বেচ্ছায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় ঘুমন্ত স্বামী হাফিজুর তাকে তাৎক্ষণিক মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন।
আগুন নিভানোর চেষ্টা করতে গিয়ে হাফিজুর নিজেও আহত হয়ে বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে তারা শুনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি২৪লাইভ/এআইআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: