১৯৯২ থেকে এক চুলও সরতে রাজি নয় মিয়ানমার

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৭, ১০:৫৭ পিএম

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত কিংবা ইউরোপিয় ইউনিয়ন এমন কোনো পক্ষের সম্পৃক্ততা ছাড়াই বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। এধরনের চুক্তি বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের এর আগে হয়েছে এবং নানা অজুহাতে স্বল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেওয়ার মাঝে এধরনের প্রক্রিয়া থমকে গেছে।

নতুন যে সমঝোতা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে আগামী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। মিয়ানমার এধরনের অঙ্গীকার করলেও কবে এধরনের প্রক্রিয়া শেষ হবে সে ব্যাপারে কোনো সময়সীমার বাধ্যবাধকতা নেই। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে একটি ফর্ম থাকবে যেখানে রোহিঙ্গাদের বেশ কিছু তথ্য পূরণের পর তা পাঠাতে হবে মিয়ানমারে। মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগ তাতে ছাড়পত্র দিলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ রাজি থাকলে এখন এ ফর্ম পাঠাবে মিয়ানমার।

বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে বারবার বলা হচ্ছে ১৯৯২ সালের পরিস্থিতি আর এবার রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় নেয়ার পরিস্থিতি এক নয়। হত্যাযজ্ঞ, নির্বিচারে গণধর্ষণ, লুটপাট, বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগের মুখে এক কাপড়ে কোনো রকমে প্রাণ বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা এসে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। তাদের কাছে কোনো কাগজপত্র বা তথ্য প্রমাণ থাকার কথা নয় এ বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী একাধিকবার বলেছেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছিল তা থেকে এক চুল সরতে রাজি নয় মিয়ানমার। আগের ওই চুক্তিতে রাখাইন থেকে চলে আসা রোহিঙ্গাদের পরিচয় প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের ফেরত নেওয়ার কথা ছিল।

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের দেশটির ভাষায় রাখাইন রাজ্যের বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের পদ্ধতিগতভাবে যাচাই ও গ্রহণ করার জন্যে বেশ কিছু নির্দেশক নীতি জুড়ে নির্ধারিত ফরম সরবরাহ করবে যা পূরণ করা অনেকাংশেই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।


বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: