কৌশলী আ’লীগ-বিএনপি

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:০৭ পিএম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনের খুব সচেতন অবস্থানে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। জয়ের লক্ষে প্রার্থী বাছাইয়ে দুই দলই রয়েছে সর্তক।

গত ৯ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন এবং আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকলেও এখন প্রার্থী চুড়ান্ত করতে পারে নি বিএনপি-আওয়ামী লীগ।দেশের বড় দুই দলই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণায় কৌশলী অবস্থানে রয়েছে। পরোক্ষভাবে দুই দলের প্রার্থী চূড়ান্ত হলেও ঘোষণা দেয়া হয়নি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সবুজ সংকেত পাওয়া দাবি করে বিজিএমই'এর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম নির্বাচনী বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে উত্তরের প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচার-প্রচারণায় ও গণসংযোগ করে ভোটারের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ব্যস্ত সময় পার করছেন।অপরদিকে, বিএনপির মনোনীত কোনো প্রার্থী প্রচারণায় অংশ না নিলেও গত নির্বাচনে মেয়র আনিসুল হকের কাছে পরাজিত তাবিথ আউয়ালকেই এবারও সমর্থন দেবে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনসহ প্রতিটি নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপি। 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র মতে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচন সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ কোনো ভাবেই চাইবে না পরাজয় বরণ করতে। যার ফলে তফসীল ঘোষণার পরেও এখনও দল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি।

দীর্ঘদিন নিরব থাকলেও ঢাকা সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০ দলীয় জোটের যৌথ সভা ডেকে ঘোষণা দিয়েছেন, ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে এ নির্বাচনে একক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে।

এ বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ১৩ জানুয়ারি স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় কি না তা প্রমাণিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত, ৯ জানুয়ারি আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপ-নির্বাচেনর তফসীল ঘোষণা করে কমিশন। তাদের ঘোষণা অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১৮ জানুয়ারি, যাচাই-বাছাই ২১ ও ২২ জানুয়ারি, প্রত্যাহার ২৯ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ ৩০ জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ ২৬ ফেব্রুয়ারি।

২০১৫ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আনিসুল হক ৪ লাখ ৬০ হাজার ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। জবরদস্তি ও জাল ভোটের অভিযোগে দুপুরের পরপরই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ৩ লাখ ২৫ হাজার ভোট নিয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। গত ৩০ নভেম্বর লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়র আনিসুল হক মারা যান। এরপর ৪ ডিসেম্বর মেয়রের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। এর ফলে ৯০ দিনের মধ্যে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এএএম/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: