লাশের উপর লাশ!

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০১৮, ১০:১৫ পিএম

বাতাসে ভেসে আসছে উৎকট গন্ধ। আর এ দুর্গন্ধের মধ্যেই প্রতিদিন নাকে কাপড় কিংবা রুমাল চেপে বসে থাকেন এখানে ময়নাতদন্ত করাতে নিয়ে আসা লাশের স্বজনরা। প্রশ্ন করতেই পারেন, এমন উৎকট গন্ধ কিসের? উত্তর আসবে, ‘লাশের’। মর্গের ভেতরে স্তুপ হয়ে আছে অজ্ঞাতদের লাশ।

অবাক হচ্ছেন! অবাক হওয়ার কিছু নেই; এমন চিত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) হিমাগারের। সেখানে একটির উপরে আরেকটি রাখায় পচে গলে গেছে বেশিরভাগ লাশ। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আশেপাশে। তবুও ভ্রুক্ষেপ নেই কারো।

বুধবার (১৬ মে) দুপুরের দিকে ঢামেকের মর্গে গিয়ে দেখা যায়, লাশের স্তুপ। অথচ সেখানে ফ্রিজের ভেতর একটি লাশ রাখার নিয়ম। সেখানে রাখা হয়েছে তিনটি করে।

এ প্রশ্নের জবাবে ঢামেক হিমাগারের সহকারি সেকান্দার আলী বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘মর্গের ভেতরে যেসব লাশ স্তুপ হয়ে আছে সেগুলো অজ্ঞাতদের। হাসপাতালের নিউ বেবী ব্রুন, নারী ও পুরুষসহ মোট ৩০টি অজ্ঞাত লাশ রয়েছে। এই লাশগুলো গত ১৫ দিন যাবৎ পড়ে আছে।’

‘রাজধানীর বিভিনস্থানে ট্রেনে কাটা পড়াসহ নানা কারণে মৃত্যু হওয়া এসব লাশগুলো পুলিশ সুরতাহালে তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাত লাশগুলো হিমাগারে রাখা হয়। তবে সেখানে ২০টি লাশ রাখার জায়গা রয়েছে।’

&dquote;&dquote;

জানা গেছে, ১৫ দিন ধরে এসব লাশ নেয়নি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম। ফলে মর্গে জমেছে এসব লাশ। লাশগুলো এতটাই বিকৃত হচ্ছে যে, শনাক্ত করার কোনো উপায় থাকছে না। দাফনের জায়গাসহ ব্যবস্থা না থাকায় মর্গ থেকে লাশ নিতে পারছে না আঞ্জুমানে মফিদুল কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে আঞ্জুমানে কর্মরত ডিউটি অফিসার বলেন, ‘জুরাইন কবরস্থানে অজ্ঞাত লাশ দাফনের জন্য যথেষ্ট জায়গা, বাস এবং চাটাই নেই।’

জুরাইন কবর স্থানের ড্রেসার হাফেজ আবদুর সাত্তার বলেন, ‘অজ্ঞাত লাশগুলো দাফনের জায়গাটি অনেক নিচু। তবে কর্তৃপক্ষ বলেছেন, দ্রুত সেটি তিন ফুট উঁচু করা হবে। এটি হলেই অজ্ঞাতদের দাফনে আর কোন সমস্যা হবে না।’

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বলেন, ‘বসিলা কবরস্থানে দাফনের জন্য প্রচুর জায়গা আছে। কিন্তু আঞ্জুমান অজ্ঞাত লাশ দাফনের জন্য ফ্রি বাঁশ-চাটাই চাচ্ছে। তাদের দাবির বাঁশ-চাটাই অফিস ফাইল প্রসেসিং আছে। সপ্তাহ মধ্য সব ঠিক হয়েছে যাবে।’

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: