রমজানের পর শারীরিক সুস্থতায় করণীয় 

প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০১৮, ০৯:১৫ এএম

পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষের পথে। শরীরের সাথে সুস্থ ত্বক ব্যক্তির অনন্দকে প্রসারিত করে। পবিত্র রমজান মাসের অনেক রোজাদার ব্যক্তি তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মগুলো করে থাকে রুটিন মাফিক। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নিয়মিত ওষুধ প্রয়োগেই একজন মানুষ সুস্থ হয়ে উঠবে তা কিন্তু নয়।

রমজান মাসে ভোজনরসিক বাঙালির খাবারের তালিকায় অনেকটাই পরিবর্তন আসে। আমাদের দেশে অনেকেই রমজান মাসে পরিপূর্ণ খাদ্যাভাস গ্রহণ করতে পারেন না, আবার কিছু কিছু ধন্যাঢ্য খাদ্য বিলাসীরা এতই খাবার গ্রহণ করেন যে তাতে তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও রোগ-বালাইয়ের সম্মুখীন হতে হয়।

আবার এই এক মাস নির্দিষ্ট একটি নিয়মে চলার পর হুট করেই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ফলে শরীরের নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই রমজান শেষে কিছু নিয়ম মেনে চললে এ ধরনের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

* ঐতিহ্যগতভাবেই রমজান মাসে ভাজাপোড়া খাবার একটু বেশি খাওয়া হয়। এছাড়া সেহরি ও ইফতারেও অনেকেই একটু কিছুটা বেশি খাবার গ্রহণ করেন। এরফলে অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। রমজান শেষে হলেই এই ওজন কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করা উচিত। 

* রমজান শেষে লিপিড প্রোফাইল,  ব্লাড গ্লুকোজ, সিরাম ক্রিয়েটিনিন,  সিরাম ই্যলেক্ট্রোলাইট ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভালো।

* রোজায় অনেকেরই অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা দেখা যায়। তাই রমজান শেষ হওয়ার পরই খাবার নিয়ন্ত্রণ করে রুটিন অনুযায়ী ঘুমানো উচিত।

* অনেকেরই রোজায় ওজন একটু কমে যায়। তারা রোজার পরপর নিয়মিত দুধ, ডিম, কলা ও মাছ খেলেই ওজন বাড়বে। 

* রোজার পর হালকা সহজ-পাচ্য খাবার পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে শরীর অনেক ভালো থাকবে। 

* পুরোটা রমজান জুড়েই হয়তো আপনি রুটিন থেকে বিচ্যুত হয়ে একদিনও হাঁটেননি। তবে রমজান শেষ হওয়ার পর আবারও হাঁটা শুরু করুন।

বিডি২৪লাইভ/এমআরএম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: