শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ৩

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০১৮, ১২:২৭ পিএম

জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ওসাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৯ বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত তিনজনের মৃত্যুর হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ভূমিকম্পে সোমবার (১৮ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে ওসাকার কাছাকাছি শিগা, কিয়েতো ও নারা অঞ্চলও কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পের পর অনুভূত হওয়া বেশ কয়েকটি পরাঘাতও আশপাশের অঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

জাপানের আবহাওয়া দফতর এ ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ দশমিক ১ জানায়। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা কম্পনের মাত্রা ৬-এর নিচে ছিল বলে জানিয়েছে।

১৯৯৫ সালের পর ওসাকায় শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়ির গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ট্রেন ও বিমান যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পের সময় তাকাৎসুকির একটি সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৯ বছর বয়সী এক শিশুর ওপর দেয়ালধসে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তার মৃত্যু হয় বলে পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে ওই গণমাধ্যমগুলো।।

জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, ওসাকায় ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধও দেয়ালচাপা পড়ে মারা গেছেন। আহতের সংখ্যা কয়েক ডজন বলেও জানিয়েছেন তারা। অনেকেই নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও শঙ্কা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া বাহিনীগুলোর।

জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা দ্রুতগামী ও সাধারণ সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে। ওসাকা ও আশপাশের এলাকায় থাকা কলকারখানার কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ভূমিকম্পে ওসাকার লাখখানেক বাড়ির গ্যাস এবং প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে খবর এনএইচকের। অনেক এলাকার রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি ও পানির পাইপ ফেটে গেছে। লিফটের ভেতর মানুষ আটকা পড়ারও খবর পাওয়া গেছে।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ভূমিকম্প-পরবর্তী সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। সরকার জনগণের প্রাণের নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে ২০১৬ সালের মার্চে জাপানের কুমামতো শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

কুমামতোর পর ওসাকায় হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রাই সবচেয়ে অনুভূত হয়েছে বলে বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। ভূমিকম্পে রাস্তাঘাটের পাশাপাশি বেশ কিছু ভবনও ধ্বসে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: