নবীগঞ্জে পানিবন্ধি ২০টি গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০১৮, ০৮:৪৩ পিএম

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে ভাঙন দেখা দিলে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ
অব্যাহত থাকায় ৩টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম বন্যাকবলিত ও পানি বন্ধি হয়ে পড়েছেন। 

গত শনিবার ঈদের দিন থেকে কুশিয়ারা প্রতিরক্ষা বাঁধের পাহাড়পুর,ঢালারপাড়, হুসেনপুর, জামারগাও নিকটে ভাঙ্গন এলাকা দিয়ে কুশিয়ারার পানি প্রবেশ করছে। বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন ঈদের আগে এমন বিপদে পড়লেও বাড়ি ছাড়তে চাচ্ছেন না। বেশির ভাগ মানুষ কষ্ট করে নিজেদের ভিটে চৌকি বা
মাঁচায় অবস্থান করছে। 

এখন পর্যন্ত কোন সরকারী ত্রান সামগ্রী বিতরনের কোন খবর পাওয়া যায়নি। পাহাড়ি ঢলে নবীগঞ্জ উপজেলাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ পান্দিবন্দি রয়েছে। সিলেটের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন রয়েছে নবীগঞ্জের ভাটি অঞ্চলের মানুষের। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসান ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী,কুশিয়ারা ডাইক দীঘলবাক ও ইনাতগঞ্জ ইউপির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানির নিচে রয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় ব্যবসায়ী ও নদী তীরবর্তী মানুষেরা হাউমাউ করে কাঁদছেন।

নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, স্কুল পানির নিচে রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা জানান, আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে মৎস্য সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু গ্রাম ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ ও ঈদগাহে পানি ঢুকে পড়েছে। দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা মিয়া বলেছেন, তার ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ অকাল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছেন। এখনো পর্যন্ত কোন মানুষ সরকারী কোন বরাদ্ধ পাননি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভারতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। কুশিয়ারার নদীর বাঁধ উপচিয়ে পানি এসে বাঁধ ভেঙেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কুশিয়ারা নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ উপচিয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে।

বিডি২৪লাইভ/এসএস 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: