‘ওকে তুলে খালে ফেলে আয়, এমন লোকের বেঁচে না থাকাই ভালো’

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০১৮, ০৩:১৪ পিএম

সেঁতুর ওপর থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন এক যুবক। এদিকে স্বামীর ডুবে যাওয়ার খবরে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন ওই যুবকের স্ত্রী। স্বামীর খোঁজে গোটা পাড়ায় হুলস্থুল। এদিকে যাকে ঘিরে এত কাণ্ড, সেই ব্যক্তি তখন বাড়ি ফিরে স্নান সেরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন!

ঘরে স্বামীকে দেখে মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে বাড়ি ফিরে অন্তঃসত্ত্বা ওই স্ত্রী রাগ করে বলেন, ‘সবাইকে বিপদে ফেলে লোকটা। আজ ভেবেছিলাম ও আর নেই। ‘ধর সবাই, ওকে তুলে খালে ফেলে আয়। এমন লোকের বেঁচে না থাকাই ভালো। জীবনটা শেষ করে দিল!’ 

মঙ্গলবার স্বামীর ওপর রাগ করে এ কথা বলছিলেন কলকাতার মুচিবাজার এলাকার বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা এক নারী। এ সময় কোনোমতে পাড়ার লোকজন শান্ত করেন ওই নারীকে- খবর আনন্দবাজার।

কলকাতার অরবিন্দু সেতু থেকে স্বামী খালে ঝাঁপ দিয়েছেন। সোমবার (১৮ জুন) রাতেই স্বামী খালে ঝাঁপ দিয়েছে বলে মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন মুচিবাজার এলাকার বাসিন্দা এক নারী। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ সেতুতে উঠে দেখেন, স্বামীর জুতা পড়ে রয়েছে এক কোণে। আশপাশের লোকজন জানান, এক ব্যক্তিকে খালে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন তারা।

এদিকে রাতেই যুবকের নদীতে ঝাঁপ দেয়ার খোঁজে রাত ১২টা নাগাদ জোর তল্লাশি চলে। নামানো হয় নৌকা। উদ্ধারে ঘটনাস্থলে আসেন দমকল বাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর সদস্যেরা। রাত ৩টা নাগাদ খোঁজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়ে খবর আসে, ওই যুবক বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন। বাড়ি গিয়ে খোঁজ মেলে যুবকের।

এক বাসিন্দা জানান, রাত দেড়টা নাগাদ বাড়ি ফিরে এসেছিলেন ওই যুবক। কুয়োর জলে স্নান করে ঘুমিয়ে পড়েন।

তদন্তকারীরা জানান, ওই যুবক স্থানীয় একটি ফাস্টফুডের দোকানে কাজ করেন। বছরখানেক আগে তার বিয়ে হয়। সোমবার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

এত কিছুর পরও নির্বিকার ওই যুবক বলেন, খালে পড়ে তো ডুবলামই না! তাই অন্যদিক দিয়ে উঠে চলে এলাম। বিশেষ লাগেনি। পা-টা একটু কেটে গেছে।

ভোরে থানায় ফিরে যাওয়ার আগে মানিকতলা থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ওই যুবককে ধরে পেটানো উচিত। সারা রাত খাটিয়ে মারল!

বিডি২৪লাইভ/এমআরএম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: