পাবনায় ‘কমিউনিটি হেল্থ এন্ড হার্ট হাসপাতালের’ যাত্রা শুরু

ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় যাত্রা শুরু করলো পাবনা কমিউনিটি হেল্থ এন্ড হার্ট হাসপাতাল। হৃদরোগ বিশেষায়িত হাসপাতাল পাবনায় এটাই সর্বপ্রথম। 

শনিবার (২৩ জুন) দুপুরে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন প্রধান অতিথি হিসেবে পাবনা শহরের নুরপুর বাইপাস এলাকায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, বর্তমান সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে। তারই আলোকে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্ছিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার থেকেই এই হেল্থ এন্ড হার্ট হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালটি পাবনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের হৃদরোগ চিকিৎসায় ভূমিকা রাখবে। সেইসাথে বিশেষায়িত সেবা গ্রহণে এ অঞ্চলের মানুষ যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই হাসপাতাল। 

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে লক্ষ্যে বেসরকারি প্রচেষ্টায় আর্থ সামাজিক খাতে গৃহিত প্রকল্পে সীমিত আকারে সরকারি সাহায্য প্রদানের জন্য সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এর আলোকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে।

দেশে বর্তমানে মাদকের ব্যাপকতা সম্পর্কে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ৭০ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। এর মধ্যে  ১০ ভাগ নারী-কিশোরী। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। আমাদের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ মাদক নিয়ন্ত্রণ করা।  দেশের ৩৫ ভাগ হলো তরুণ সমাজ। তাদেরকে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতে বেগ পেতে হবে না।

ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির, সিভিল সার্জন ডা. তাহাজ্জেল হোসেন, পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রিয়াজুল হক, ট্রাস্টের কো-অর্ডিনেটর মাহমুদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন হাসপাতালের উপদেষ্টা এস মুস্তাকিম সবুজ।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান বলেন,  আর্সেনিক দুষণ সনাক্তকরণসহ পাবনাবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় গত ৩০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে এই হাসপাতাল। নবনির্মিত কমিউনিটি হেল্থ এন্ড হার্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ অঞ্চলের জনগণ আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পাবে। হাসপাতালটি পুরোদমে কাজ শুরু করলে এ অঞ্চলের মানুষকে হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য আর ঢাকায় যেতে হবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, একদিন কমিউনিটি হেল্থ এন্ড হার্ট হাসপাতাল উত্তরবঙ্গের একটি প্রধান একাডেমিক হাসপাতাল হিসেবে গড়ে উঠবে।

বিডি২৪লাইভ/এমকে