ফের আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০১৮, ১০:৫৮ পিএম

চট্টগ্রামের তাসপিয়া আমিন (১৫) হত্যা মামলায় কথিত প্রেমিক আদনান মির্জাকে দ্বিতীয় বারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক জিন্নাত ফেরদৌস চৌধুরী এই আদেশ দেন।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে রিমান্ড শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের পরিবর্তে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।

এর আগে গত ৬ মে একই আদালত আদনানকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করে টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগারের তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিলেন।

এছাড়া গত ১১ জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে তাসপিয়া হত্যাকাণ্ডের ‘ভিসেরা প্রতিবেদন’ পুলিশের হাতে আসে।

প্রতিবেদনে তাসপিয়ার মৃত্যু বিষক্রিয়া বা অ্যালকোহলে হয়নি বলে জানানো হয়েছে। কারণ ভিসেরা পরীক্ষায় ফলাফল ‘নেগেটিভ’ অর্থাৎ বিষক্রিয়া বা অ্যালকোহল জাতীয় কোনো কিছুর ক্রিয়ায় স্কুলছাত্রী তাসপিয়া আমিনের মৃত্যু হয়নি। তার মৃত্যু হয়েছে অন্য কোনো কারণে। আর সেই রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রয়োজন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন। তাহলেই তাসপিয়ার মৃত্যু রহস্য জানা যাবে।

তবে কবে নাগাদ এ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।

এদিকে মামলার বাদী ও নিহত তাসপিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন দাবি করে আসছেন এই মামলা যেন পিবিআইএর হাতে যায়। কারণ, পুলিশ তার মেয়ের মামলার তদন্তে গাফিলতি করছে। অথবা অন্য কোনো কারণে তারা সফলতা দেখছে না।

প্রসঙ্গত, গত ২ মে স্থানীয়রা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে একটি লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সৈকত এলাকার ১৮ নম্বর ব্রিজের উত্তর পাশে পাথরের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকা অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করে। পরে স্বজনেরা লাশটি তাসপিয়ার বলে শনাক্ত করে।

সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়, লাশের এক চোখ উপড়ে ফেলা, অপর চোখ নষ্ট করে দেয়া ছাড়াও নাক-মুখ থেঁতলানো, পিঠ, বুক এবং যৌনাঙ্গে নির্যাতনের ছাপ পায় পুলিশ।

এর আগে, গত ১ মে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় স্কুলছাত্রী তাসপিয়া আমিন। প্রেমিক আদদানের সঙ্গে প্রেমের এক মাস পূর্তি উৎসবে মিলিত হয় চায়না গ্রিল নামক একটি রেস্টুরেন্টে। এরপর আর বাসায় ফেরেনি তাসপিয়া।

এ ঘটনায় ৩ মে তাসপিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন পতেঙ্গা থানায় তাসপিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর প্রেমিক আদনান ও আদনানের বন্ধু মিজানুর রহমান ওরফে আসিফ মিজান গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শওকত মিরাজ, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির ছাত্র ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম, কথিত যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ফিরোজ ও তার সহযোগী সোহায়েল ওরফে সোহেল। এই চার আসামি ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। আর তদন্তের অগ্রগতি রয়েছে রহস্য বৃত্তে।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: