‘আগের থেকে অর্থ পাচারের ঘটনা আরও বেড়েছে’

প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০১৮, ১১:৩৪ পিএম

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচারের ঘটনা আগের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) কাস্টমস গোয়েন্দার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শহিদুল ইসলাম বলেন, আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বিদেশে অর্থপাচারের ঘটনা বেড়ে গেছে। তবে এ বিষয়ে আমরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই মানিল্ডারিং এর সঙ্গে কিছু প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। দ্রুত ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

&dquote;&dquote;শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি দেশে আনার সম্পর্কে তিনি বলেন, অসাদুউপায় ব্যবহার করে দেশে যারাই এসব বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন বেশ কয়েকটি অভিযানে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে যারা গাড়ি এনেছে আমরা তাদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। অনেক আবার ভয়ে গাড়ি রাস্তায় ফেলে রেখে চলে গেছে।

এ সময় তিনি উত্তরা ক্লাবে আটক পাঁচ কোটি টাকার মদের বিষয়ে বলেন, আটকরা মদের বিপরীতে কোনো ধরনের কাগজ দেখাতে পারেনি। তাদের এখানে বারের লাইসেন্স থাকলেও তারা অনেক দিন ধরে মদ আমদানি করে না। আর তারা এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো কাগজ এনে দেখাতে পারেনি।

চোয়ার বা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা মদ রাজধানীর অনেক অভিজাত ক্লাবে আছে জানিয়ে শুল্ক গোয়েন্দার ডিজি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে শুধুমাত্র উত্তরা ক্লাব নয়, রাজধানীর অনেক অভিজাত ক্লাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মদ আনা রয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছি। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে ওইসব ক্লাবেও অভিযান চলবে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: