‘ভাগ-বাটোয়ারার’ বলি আ’লীগ নেতা ফরহাদ

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০১৮, ০৬:০৭ পিএম

অটোরিকশা স্ট্যান্ড ও ডিশ ব্যবসায় চাঁদাবাজির টাকার ভাগ-বাটোয়ারার জেরেই হত্যা করা হয় রাজধানীর বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেনকে। ওই হত্যার মূলহোতাসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগ গোয়েন্দার একটি দল।

গত (১৩ জুলাই) শুক্রবার গুলশান ও শাআলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি বিদেশী পিস্তল, চারটি ম্যাগাজিন ও ১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

ডিবি জানায়, ফরহাদ হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত ১০ জুলাই জহিরুল ইসলাম সুজন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে ১৩ জুলাই রাতে গুলশান এলাকা থেকে ১টি পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ জাকির হোসেন (৩১) ও আরিফ মিয়াকে (২০) গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মিরপুর থেকে ৩টি পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ আবুল কালাম আজাদ অনির (২৮), বদরুল হুদা সৌরভ (২৬) ও বিল্লাল হোসেন রনি (২৮) নামে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন জানান, মৃত ফরহাদ আলী রাজনৈতিক প্রতিপত্তি খাটিয়ে বাড্ডায় অটোরিকশা স্ট্যান্ড ও ডিস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা তুলতেন। মূলত এই চাঁদার টাকার ভাগ নিয়ে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী রমজান ও ফরহাদ আলীর দ্বন্দ্ব হয়।

তিনি আরও জানান, বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী মেহেদী ও আশিকের আস্থাভাজন সহযোগী রমজান। দ্বন্দ্বের জেরে রমজান, মেহেদী ও আশিক তিনজন মিলে ফরহাদ আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

ফরহাদ আলীর বড় ছেলে আবিদ আল হাসান বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাবা এলাকার মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। তার এই জনপ্রিয়তাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার বাবা তাদের চাঁদা উঠাতে বাঁধা দেওয়ার কারণেই তাদের শত্রু হয়ে যায়। এবং পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করে।’

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: