ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মেয়েকে ‘ধর্ষণ’ করল বাবা! এরপর...

আচ্ছা, বিয়ের আগে একটি মেয়ের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্ৰয় এবং নিরাপত্তা দাতা কে? কোন ব্যক্তি? সবাই হয়তো এক বাক্যে উত্তর দেবেন, সেই ব্যক্তিটা, জন্মদাতা বাবা ছাড়া আর কে বা হতে পারে। সেই জন্মদাতা বাবাই যদি দিনের পর দিন মেয়েকে ধর্ষণ করে! তাহলে সেই বাবাকে আপনি কি বলবেন?

ভাবছেন এটাও কি সম্ভব? ভাবতে কষ্ট লাগলেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর পল্লবীর বাওনীয়াবাদ এলাকায়। এখানে নিজের কিশোরী মেয়েকে (১৩) ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৪ জুলাই) সকালের দিকে বাওনিয়াবাদ এলাকা থেকে ওই মেয়েটির বাবা মো. আলমগীর হোসেনকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়।

ওই কিশোরীর এক আত্মীয়ের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর মা একজন পোশাক শ্রমিক। কাজের প্রয়োজনে প্রায়ই তাকে ‘নাইট ডিউটি’ করতে হয়। আর রাতে বস্তির ঘরে ওই কিশোরী তার রিকশাচালক বাবার সঙ্গে ঘুমাত।

এই সুযোগে মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে প্রায়ই ধর্ষণ করতেন তিনি। কিন্তু গত ২৮ রমজান হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলে ওই কিশোরী চিৎকার শুরু করে। এক পর্যায়ে কিশোরীর গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। লজ্জায় আর ভয়ে মাকে কিছুই জানায়নি মেয়েটি।

অবশেষে গতকাল শুক্রবার রাতে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই কিশোরীর মা ঘটনাটি জেনে যায়। এরপর আজ শনিবার সকালে ওই কিশোরী ও তার মা থানায় এসে অভিযোগ করে। পরে পুলিশ আলমগীরকে গ্রেফতার করে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘ওই কিশোরী ও তার মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আর ওই কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।’

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ