মক্কায় বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৮, ০৯:৪৯ এএম

চলতি বছর সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে মোহাম্মদ আমীর হোসেন (৫৩) নামে এক বাংলাদেশি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত পোর্টালের সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার (১৬ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রূপসী এলাকার মোহাম্মদ আমীর হোসেন পবিত্র মক্কা আল-মুকাররমায় ইন্তেকাল করেন। চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে তিনিই প্রথম মৃত্যুবরণ করলেন।

তার পাসপোর্ট নম্বর: বিআর ০৯৪৭১৩১। তিনি বেসরকারি হজ ব্যবস্হাপনায় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ১৫ জুলাই ভোর ৪টা ১৪ মিনিট মক্কায় এনে পৌঁছান।

হজে আসার আগে প্রত্যেক হজযাত্রী হজে গমনের আবেদনপত্র পূরণ ও স্বাক্ষর করেন। সেই আবেদনপত্রে অঙ্গীকার করেছেন, সৌদি আরবে মৃত্যু হলে মরদেহ সেখানেই দাফন করা হবে। কোনো ওজর-আপত্তি থাকবে না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হবে না।

সৌদি আরবে হজ করতে যাওয়া বাংলাদেশি হজযাত্রীর বাড়ি বা রাস্তায় দুর্ঘটনা অথবা হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ইন্তেকালের খবর নিশ্চিত হয়ে নিকটস্থ হাসপাতাল অথবা বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে চিকিৎসকের সনদ সংগ্রহ করা হয়। তারপর মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। মৃত হাজির আত্মীয়স্বজন বা কাছের কেউ তা শনাক্ত করেন। তা সত্যায়িত করার জন্য মোয়াল্লেম অফিস থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হয়। বাংলাদেশ হজ কার্যালয় থেকে সনদপত্র সংগ্রহ করা হয়।

&dquote;&dquote;

মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়। আর মদিনায় মারা গেলে মসজিদে নববীতে জানাজা হয়। জেদ্দায় মারা গেলে জেদ্দায় জানাজা হয়। জানাজা শেষে মক্কার শারায়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে অথবা জেদ্দায় কবরস্থানে দাফন করা হয়। মক্কা ও মদিনা দুই জায়গাতেই প্রায় প্রতি ওয়াক্তেই ফরজ নামাজের পর জানাজা হয়। হজযাত্রী এবং আশপাশের এলাকার স্থানীয় সৌদি নাগরিক মারা গেলে তাঁদের জানাজা এই দুই পবিত্র মসজিদে হয়ে থাকে। কোনো কোনো ওয়াক্তে একাধিক জানাজাও হয়ে থাকে। হজযাত্রীরা ফরজ নামাজের পর সঙ্গে সঙ্গে সুন্নত নামাজ শুরু না করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন জানাজার জন্য।

বাংলাদেশ হজ মিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই পর্যন্ত সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১৪ হাজার ৪ জন হজযাত্রী। তাদের বহন করেছে বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৩৯টি ফ্লাইট। আগত হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার ৩ হাজার ২২৬ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১০ হাজার ৭৭৮ জন।

সবশেষ হিসাব অনুয়ায়ী, ব্যবস্হাপনা দলের সদস্যসহ ইস্যুকৃত ভিসার সংখ্যা ৪৯ হাজার ৭৫৭টি।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজে অংশগ্রহণ করবেন। চলতি হজ মৌসুমে হজ যাত্রীদের সহায়তার জন্য সৌদি আরবে বাংলাদেশ হজ মিশন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং হটলাইন নাম্বার চালু করেছে।


বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: