রাজধানীতে এখনো জমে ওঠেনি গরু বেচাকেনা!

প্রকাশিত: ১৭ আগষ্ট ২০১৮, ০৬:১৯ পিএম

মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ৪ দিন। কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে রাজধানীর গরুর হাটগুলোতে গরু-ছাগল ও উট উঠেছে পর্যাপ্ত। রাজধানীর বৃহৎ গরুরহাট গাবতলীসহ ২২টি হাটে কোরবানীর পশু উঠেছে। হাটে পশু উঠলেও এখনও জমে ওঠেনি বেচাকেনা। হাটে আসা গরুগুলোর মধ্যে দেশি গরুর সংখ্যাই বেশি। সুলভ মূল্যে দেশি গরু পাওয়ায় বেশ খুশি ক্রেতারা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর প্রায় সব হাটেই গরু- ছাগল নিয়ে আসতে শুরু করেছে বিক্রেতারা। হাটে আসা অধিকাংশ গরুই দেশীয় খামারিদের। দেশে কুরবানি যোগ্য পর্যাপ্ত গবাদিপশু থাকায় দাম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর গাবতলী বাজারে হাজারের উপরে গরু উঠেছে। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। আবার দামও বলছেন কিন্তু ক্রেতার উপস্থিতি একেবারেই কম। হাটে স্থানীয় লোকজন ঘুরে ঘুরে গরু দেখা শুরু করলেও বেচা-বিক্রি এখনো জমে উঠেনি বলে দাবি করছেন গরু ব্যবসায়ীরা। এবার দেশীয় খামারিদের কাছে প্রচুর গরু রয়েছে। তাই ঈদের আগে গরুর সংকট পড়বে না বলে জানান তারা।

&dquote;&dquote;নরসিংদী থেকে আসা গরু খামারের মালিক আনোয়ার হোসেন বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) রাতে ১২টি গরু নিয়ে এ হাটে এসেছি। এর মধ্যে আজ দুপুরে ২টি গরু ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাজারে গরুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে।’

জুম্মার দিনে ভালো দাম পাবে এমন প্রত্যাশা করে আবুল হোসেন নামে এক গরু বিক্রেতা বলেন, ‘আজ শুক্রবার (১৭ আগস্ট)। বিকালে ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে। ক্রেতারা আসলে আশা করছি ভালো দাম পাবো। তবে এখনো ভারতের গরু না আসায় আমরা খুবই আনন্দিত।’

গাবতলী হাটে প্রায় ২০ হাজার গরুর রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া গাবতলী হাটে রয়েছে অসুস্থ পশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা। গরু ব্যবসায়ীদের জন্য পানির ব্যবস্থা ও জাল টাকা চিহ্নিত করতে মেশিন রাখা হয়েছে এ হাটে। হাটে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী রাখা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এসআই/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: