মাংস থেকে চর্বি বাদ দেয়ার কৌশল

প্রকাশিত: ১৮ আগষ্ট ২০১৮, ০৯:১৯ পিএম

চলছে ঈদ উদযাপনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কোরবানি মানেই রেডমিট বা লাল মাংসের সম্ভার। গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ, উট কিংবা দুম্বার মাংসকে বলা হয় লাল মাংস। এই সব লাল মাংসে থাকে প্রচুর পরিমাণ খারাপ জাতের চর্বি। আর এ গোশতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খারাপ কোলেস্টেরল, যা হৃৎপিণ্ডের প্রধান শত্রু।

তাই কোরবানির মাংস গ্রহণে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। বিশেষজ্ঞরা ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে কিংবা তারপরে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০০ মি.গ্রা./ ডিএল-এর বেশি থাকলে রেড মিট বা লাল মাংস একেবারেই না খাওয়ার জন্য উপদেশ দিচ্ছেন।

একই সঙ্গে আরো বলেছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের গড়ে ২৫-৩০ গ্রামের বেশি চর্বি খাওয়া উচিত নয়।

কোরবানির মাংস থেকে চর্বি বাদ দেয়ার কৌশল:

১. পশু কোরবানির পর মাংস কাটার সময় গোশতের গায়ে লেগে থাকা চর্বি যতটা সম্ভব কেটে বাদ দেবেন।

২. মাংসকে একটু হলুদ-লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে রেফ্রিজারেটরে ঠাণ্ডা করলে কিছুটা চর্বি মাংস থেকে বেরিয়ে এসে জমাকৃত অবস্থায় থাকে। এ অবস্থায় বাড়তি চর্বিটুকু একটা চামচ দিয়ে আঁচড়ে সহজে বাদ দেয়া যায়।

৩. এ ছাড়া মাংসকে একটি র‌্যাক বা ঝাঁজরা পাত্রে রেখে অন্য একটি পাত্রের ওপর বসিয়ে চুলায় দিলে নিচের পাত্রে মাংসের ঝরে যাওয়া চর্বি জমা হবে। এ পদ্ধতিতে মাংস থেকে অনেক চর্বি বাদ দেয়া যায়।

৪. মুরগির মাংস খাওয়ার সময় অবশ্যই মুরগির চামড়া বাদ দিয়ে খেতে হবে, কারণ একটা মুরগিতে যে পরিমাণ চর্বি থাকে তার অর্ধেকটাই আসে চামড়া থেকে।

এছাড়া মাংসের দৃশ্যমান চর্বি মাংস কাটার সময়েই কেটে বাদ দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি চলবে চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার ও ব্যায়াম। কারণ চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চললে খারাপ জাতের কোলেস্টেরল এলডিএল-এর মাত্রা কমে আর অন্যদিকে ব্যায়াম করলে ভালো জাতের কোলেস্টেরল এইচডিএল-এর মাত্রা বাড়ে।

লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ১ মি.গ্রা. এলডিএল-এ যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, একই পরিমাণ এইচডিএল-এ তার চেয়ে তিনগুণ উপকার হয়। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিদিন অন্তত ২ মাইল হাঁটা উচিত।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: