জামিন পেলেন ২৫ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ১৯ আগষ্ট ২০১৮, ০২:১২ পিএম

নিরাপদ সড়কের দাবিতে করা আন্দোলনের সময় সংঘাত, ভাঙচুর, উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ৫২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জনের জামিন দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো এবং ঢাকা মহানগর হাকিম একেএম মঈনুদ্দিন সিদ্দিকী শিক্ষার্থীদের জামিন মঞ্জুর করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কবীর হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যাতির্ময় বড়ুয়া, আক্তার হোসেন জুয়েলসহ আরো অনেকে জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মামলায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় তাদের জামিন দেয়া হয়েছে।

বাড্ডা থানার মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে আজ জামিন পেয়েছেন ১০ জন। আর ভাটারা থানার মামলায় গ্রেপ্তার আট শিক্ষার্থীর মধ্যে জামিন পেয়েছেন ছয়জন। অন্যদিকে, ধানমন্ডি থানার পৃথক তিন মামলায় গ্রেপ্তার নয় শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

ভাটারা থানার জামিন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম, শিহাব শাহরিয়ার, আজিজুল করিম অন্তর, মাসহাদ মুর্তজা আহাদ, মেহেদী হাছান, ফয়েজ আহমেদ।

এছাড়া বাড্ডা থানার জামিন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নূর মোহম্মদ, আজিজুল হক, মো. হাছান, রেদোয়ান আহম্মেদ, তরিকুল ইসলাম, রেজা রিফাত আখলাক, এ এইচ এম খালেদ রেজা, রাশেদুল ইসলাম, মুশফিকুর রহমান ও ইফতেখার আহমেদ।

আসামিরা সবাই রাজধানীর বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

ধানমন্ডির মামলায় জামিন পাওয়া নয় শিক্ষার্থী হলেন- সোহাদ খান, মাসরিকুল আলম, তমাল সামাদ, ওমর সিয়াম, মাহমুদুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, ইকবাল হাসান, মিনহাজ রহমান ও নাইমুর রহমান।

গত ১৬ আগস্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষার্থীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এর আগে ৭ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা দেয়া ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় এই ২২ ছাত্রের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। ৯ আগস্ট আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর একাধিক মামলায় তাদের পৃথকভাবে জামিন আবেদন করলে তা নাখোচ করে দেন আদালত।

এ ছাড়া এজাহারে নাম থাকায় পলাতক আছেন ৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ জন শিক্ষার্থী। তাঁরা ২১টি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৬ আগস্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথ ইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অ্যাপোলো হাসপাতাল ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় লোহার রড, পাইপ ও ইট দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। তারা আফতাব নগর মেইন গেটের রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেন। এছাড়া, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল দিয়ে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করেন। পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপরে আক্রমণ করেন আসামিরা। ওই ঘটনায় বাড্ডা ও ভাটারা থানায় দুই মামলা দায়ের করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: