‘তোর ছেলে মইরা গেছে, লাশ নিয়া যা’

প্রকাশিত: ২৬ আগষ্ট ২০১৮, ০৬:৩৩ পিএম

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মা ও বোনকে অপমান এবং নিজেকে স্ত্রী-সন্তান-শ্যালক-শ্যালিকা কর্তৃক মারধরের পর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেল ছামিদুল ইসলাম ওরফে সানাউল্লাহ (৪৮) নামে চার সন্তানের জনকের। শনিবার (২৫ আগস্ট) মধ্যরাতে পুলিশ সানাউল্লাহর লাশ উদ্ধার করে ও রোববার ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সবুরন নেছা তার ছেলে সানাউল্লাহকে দীর্ঘ ২৪-২৫ বছর আগে শহরের চকপাড়া মহল্লায় বিয়ে করান। বিয়ের পর পুত্রবধূ শ্বশুর বাড়িতে ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়তে থাকলে একপর্যায়ে ছেলে সানাউল্লাহ স্ত্রী সুলতানাকে নিয়ে শ্বশুরালয়ে চলে আসেন। এখানে জায়গা-জমি কিনে বসতবাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে তাদের সংসারে ২ ছেলে ও ২ কন্যা রয়েছে। এরমধ্যে সম্পা নামে এক কন্যাকে গত ২৪ আগস্ট শুক্রবার বিয়ে দেন সানাউল্লাহ। তাই ইউপি সদস্য সবুরন নেছা কন্যা রহিমাকে সাথে নিয়ে নাতির বিয়েতে আসেন। কিন্তু তাদের আপ্যায়নে শৈথিল্য অনুভব করে ছেলে সানাউল্লাহ স্ত্রী সুলতানাকে বকাঝকা করেন। এ সময় সানাউল্লাহ’র স্ত্রী সুলতানা ও শ্যালিকা হেলেনা মা-বোনকে অপমানজনক করায় তারা বাড়িতে চলে যান।

এ নিয়ে সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহ বাঁধে এবং স্ত্রী সুলতানা, ছেলে সোহেল, শ্যালক মানিক ও শ্যালিকা হেলেনা সানাউল্লাহকে মারধর করে। পরদিন শনিবার বাড়ির অধিকাংশ লোক বরের বাড়িতে চলে যায়। সন্ধ্যায় নিজ ঘরের আড়ার সাথে (ধর্না) ঝুলন্ত অবস্থায় সানাউল্লাহ’র লাশ দেখতে পান বাড়ির লোকজন। পরে খবর পেয়ে মধ্যরাতে থানা পুলিশ সানাউল্লাহর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

সানাউল্লাহর মা ইউপি সদস্য সবুরন নেছা জানান, আমার ছেলেকে হত্যা করে তারা ঘরে ঝুলিয়ে রেখেছে। পরে ছেলের বউ ও নাতি আমাকে ফোন করে বলে যে, ‘তোর ছেলে মইরা গেছে, লাশ নিয়া যা’। আমি এ জন্য মামলা করব।

নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম ফসিহুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও কোন মামলা হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ/এমকে 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: