রাতে একঘরে ছিলাম সত্যি, ধর্ষণ করিনি!
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪০নং ওয়ার্ডের কুদাব এলাকার ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিকটিম তার পরিবারের সঙ্গে কুদাব এলাকায় আসাদুজ্জামানের বাড়িতে ভাড়া থেকে ভাদুন উচ্চবিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। তার বাবা একজন রিকশাচালক।
অভিযুক্ত ফয়সাল একই ওয়ার্ডের চামুড্ডা লিজের টেক এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। ভিকটিম জানায়, ঈদের দুদিন আগে কোচিং করতে গেলে ফয়সাল তাকে বেড়ানোর কথা বলে শ্রীপুর মাওনা চৌরাস্তায় তার মায়ের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে তিনদিন জোর করে আটক রেখে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। কান্নাকাটি করলে তাকে ফয়সাল পুবাইলে বাবার বাসায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে ফয়সাল বলে, মেয়েটিকে নিয়ে একঘরে রাত্রি যাপন করেছি সত্যি, কিন্তু ধর্ষণ করিনি। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়ের বাবা সহিদ মিয়া মামলার প্রস্তুতি নিলে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মঈন মোল্লা বাধা দেন।
২৫ আগস্ট বিকালে ছাত্রলীগ নেতা স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে সালিশি বৈঠকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩০টি বেত্রাঘাতের রায় দেন। ইজ্জতের টাকা আগামী মাসের ১৫ তারিখে পরিশোধ করার সুযোগ করে দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাড়ির মালিক আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনা আমি শুনেছি এবং জানতে পারি ছাত্রলীগ নেতা মঈন মোল্লা বিষয়টি মীমাংসা করেন। ৪০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিষ বলেন, এ বিচার ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
বিচারের রায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা মঈন মোল্লা বলেন, ভিকটিম মেয়ের দায়িত্ব নিয়েই সালিশি রায় দিয়েছি, আর ২৫ হাজার টাকা যদি আগামী মাসের ১৫ তারিখে দেয় তাহলে ভালো। সূত্র: যুগান্তর
বিডি২৪লাইভ/আরআই
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: