নেপালে প্রধানমন্ত্রী, লালগালিচা সংবর্ধনা

প্রকাশিত: ৩০ আগষ্ট ২০১৮, ১০:৫১ এএম

বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সাত দেশের জোট বিমসটেকের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে নেপালে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখারেল এবং নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশরাফি বিনতে শামস। এসময় বিমানবন্দরে বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে দেয়া হয় লালগালিচা সংবর্ধনা। এ সময় তাকে গার্ড অব অনারও দেয়া হয়।

অভ্যর্থনা পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রীকে সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রাসহকারে হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। নেপাল সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সেখানেই অবস্থান করবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-১৮৭১) প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। এ সময় বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

সফরের প্রথম দিনই প্রধানমন্ত্রী নেপালের রাষ্ট্রপতির বাসভবন শিতল নিবাসে দেশের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে নেপালের রাষ্ট্রপতির দেওয়া মধ্যাহ্ন ভোজেও অংশ নেবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও শেখ হাসিনার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বিকালে প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে চতুর্থ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে যোগ দেবেন। কাঠমান্ডুর হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতটি আঞ্চলিক দেশের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হবে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করা।

সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজের উন্নয়নের বিষয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের অলোচনার মূল বিষবস্তু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, ভুটান ও নেপালের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে তাদের তিন বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক অনুশীলন এবং একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়েও মতবিনিময় করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ স্থানীয় হায়াৎ রিজেন্সি হোটেলে তাদের সম্মানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শার্মা ওলী আয়োজিত নৈশভোজেও যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার অপরাহ্নে দেশে ফিরবেন।

১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিমসটেক গঠিত হয়। এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পাঁচটি দক্ষিণ এশিয়ার। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা এবং অন্য দুটি দেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড।

১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি বিশেষ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে প্রাথমিকভাবে ৪টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে একটি অর্থনৈতিক জোট গঠিত হয়েছিল। পরে এতে মিয়ানমারের অর্ন্তভুক্তি করা হয়। যার সংক্ষিপ্ত নাম ছিল ‘বিআইএসটি-ইসি’অর্থাৎ বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন)।

২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আবার ব্যাংককে ৬ষ্ঠ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নেপাল এবং ভুটান অন্তর্ভুক্ত হলে জোটের নতুন নামকরণ হয় ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টোরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন-বিমসটেক।’

এই ধরনের একটি জোট গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বায়নের আগ্রাসন মোকাবেলা করে আঞ্চলিক সম্পদ এবং ভৌগোলিক সুবিধাদি কাজে লাগিয়ে সকলের স্বার্থে পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: