বৈঠক থেকে বের হয়ে গেলেন ইসি মাহবুব!

প্রকাশিত: ৩০ আগষ্ট ২০১৮, ০১:৩০ পিএম

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন নিয়ে কমিশন সভা চলাকালে ইভিএমের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে বৈঠক থেকে বের হয়ে যান নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বেলা ১১টার পর সিইসি কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শুরু হয়। চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় যোগ দেন।

কমিশনার মাহবুব তালুকদার বৈঠক বর্জন করে পঞ্চম তলায় নিজ কক্ষে ফিরে আসেন। ইভিএম নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ও দেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈঠক শুরুর আধা ঘণ্টা পরে কমিশনার মাহবুব তালুকদার বৈঠক থেকে বের হয়ে যান। এ সময় তিনি ইভিএম যুক্ত করে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেন বলে তার নিজস্ব দফতর সূত্রে জানা গেছে।

পরে তার দফতরের একজন কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের পত্রগ্রহণ ও বিতরণ শাখায় নোট অব ডিসেন্টের একটি কপিও জমা দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমিশনের সভা চলছিল।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট (রবিবার) আরপিও সংশোধন বিষয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন সিইসি কেএম নুরুল হুদার সরকারি সফরে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কারণে বৈঠকটি শেষ না করে মুলতবি করা হয় এবং ৩০ আগস্ট নতুন বৈঠকের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।

এ বিষয়ে মাহবুব তালুকদারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। বর্তমানে তিনি তার কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তে আগে থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন এই নির্বাচন কমিশনার। বৃহস্পতিবারের সভায় তিনি  ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেটা আগেই জানা গিয়েছিল।

সেই নোটে নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, ‘গত ২৬ আগস্ট আরপিও সংশোধনের জন্য কমিশন সভায় তিন ধরনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সেদিন দুটি প্রস্তাব বাদ দিয়ে কেবল একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়। ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কমিশন সভা মুলতবি করা হয়।

স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ইতিমধ্যে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রথম থেকে বলে আসছেন, রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে। সরকারে পক্ষ থেকে স্বাগত জানালেও বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হয়েছে। এজন্য একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অধিকতর আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল।

এর আগে ৫০ কোটি টাকার ইভিএম ক্রয়ের নথিতে আমি ভিন্নমত প্রকাশ করেছিলাম। সম্প্রতি ইভিএমের জন্য যে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে তাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। কোন কোন রাজনৈতিক দলের বিরোধীতার মুখে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার যেখানে অনিশ্চিত সেখানে এমন বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে ক্রয় করা কতটা যুক্তিক।’

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: