মসজিদে নববীর পাশে প্রবাসীর মানবেতর জীবনযাপন 

প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৪৮ পিএম

প্রবাসী সুমন পঙ্গুত্ব নিয়ে দীর্ঘ ছয় মাস যাবৎ মদিনায় মসজিদে নববীর ১০ নম্বর টয়লেটের পাশে খোলা আকাশের নিচে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় শরীরের অক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশেও ফেরত যেতে পারছেন না অসহায় সুমন ।

তিনি জানান, জীবিকার তাগিদে এগার মাস পূর্বে ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এসে তিন মাস পর আকামা হাতে পেয়ে কর্মের সন্ধানে মদিনায় গিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে কাজ পেয়ে কয়েকদিন কাজ করার পর হঠাৎ অসুস্হ হয়ে পড়লে কর্মস্হল থেকে বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ । সেই থেকে এখন পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় দিন, সপ্তাহ, মাস পার করছেন।

&dquote;&dquote;মদিনার কয়েকজন প্রবাসীর পরামর্শে মদিনা বাংলাদেশ হজ মিশনে হাজীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক দলের কাছে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধের আবেদন করেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে জেদ্দাস্হ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম উইং এ যোগাযোগ করে কোন সহায়তা না পেয়ে সাধারণ প্রবাসীদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়ান ।

সুমনকে দেশে পাঠাতে প্রবাসীরা তার কফিলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তিন হাজার রিয়াল দাবি করেন। এক মিশরীয় ও আরেক বাংলাদেশি আড়াই হাজার রিয়াল ব্যবস্হা করে পাঠালে কফিল তাকে দেশে যাওয়ার জন্য এক্সিট/রি এন্ট্রি দিতে রাজি হন। তাকে দেশে পাঠাতে বিমানের টিকেট ব্যবস্হা করার আগ্রহ জানিয়েছেন মদিনার আরো কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি ।

&dquote;&dquote;

তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন চিকিৎসা সহায়তা ও দেশে ফেরার জন্য। সুমন আলী বলেন, যে কোনো ভাবে দেশে ফিরতে চাই, পরিবারের জন্য বাঁচতে চাই ।

জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে অতিরিক্ত ব্যথার যন্ত্রনায় দিনে দিনে শারীরিক অবনতি হচ্ছে তার- দুটি পা পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। মদিনা প্রবাসী সংবাদ কর্মী দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, মানুষ মানুষের জন্য, কত প্রবাসী ব্যবসায়ী বিত্তবান ব্যক্তি আছেন কেউ কি পারেননা সুমন আলীকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে।

অসহায় সুমন আলী জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার পুঁথিয়ারপুর ইউনিয়ন ভুগার পাড়ার মাউসের আলীর ছেলে।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: