হিন্দুদের সংখ্যা নিয়ে এরশাদের চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:২১ এএম

আগামী নির্বাচনে সরকার গঠন করতে পারলে সাধারণ আসনের বাইরে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য আরও ৩০টি আসন সংরক্ষণের ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

তিনি বলেন, ‘আগামীতে ক্ষমতায় গেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সংসদে ৩০টি আসন সংরক্ষণ করা হবে। আর সেটা সাধারণ আসনেরও বাইরে। আমার পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে এটা সংযুক্ত করব।’

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে ‘জন্মাষ্টমী’র শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এই ঘোষণা দেন।

১৯৮৮ সালের ৫ জুন এরশাদের শাসনামলে জাতীয় সংসদে অষ্টম সংশোধনী অনুমোদন হয়। ওই বছরের ৯ জুন এতে অনুমোদন দেন এরশাদ, যা সংবিধানে অনুচ্ছেদ ২-এর পর ২(ক) যুক্ত করা হয়। অনুচ্ছেদে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাইবে।

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে দেশের সংখ্যালঘু ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে।

ক্ষমতায় থাকাকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা সহযোগিতা করেননি বলে নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করেন এরশাদ। বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের প্রবর্তন করলেও আমি অন্য ধর্মকে কখনও খাটো করিনি। অন্য ধর্মগুলোকেও সম্মান দিয়েছিলাম।’

‘আমি ক্ষমতায় থাকাকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছি। হিন্দুদের জন্য বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চাকরি, শত্রু সম্পত্তি রহিতকরণ, পূজায় ছুটি ঘোষণা, মন্দির মেরামতসহ অনেক কিছু করেছি।’

এ সময় তিনি উপস্থিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে আপনাদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষণ করবো।’

তবে এই মুহূর্তে বর্তমান সরকারের হাতে সব নিয়ন্ত্রণ থাকায় দুর্গাপূজায় ছুটি বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত।

অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. আবুল বারকাত তার একটি বইয়ে দাবি করেছেন, আগামী ২০ বছর পর বাংলাদেশে কোনো হিন্দু থাকবে না।

ওই দাবির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে এরশাদ বলেন, ‘তিনি বলেছেন আগামী ২০ বছর পর বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী থাকবে না। কিন্তু আমি বলি এরই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। বুকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ লালন করি। মুক্তিযুদ্ধের সময় হিন্দুদের আত্মত্যাগের কথা ভোলা যাবে না। তখনও হিন্দুরা শেষ হয়ে যায়নি, ভবিষ্যতেও শেষ হবে না।’

জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়ের সভাপতিত্বে এবং পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সোমনাথ দে’র সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাপার কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আজম খান, মেজর অব. খালেদ আখতার, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা রানা দাশ গুপ্ত, কৃষ্ণ কীর্তণ দাস, নোকল চন্দ্র সাহা, তাপস পাল, সুজন দে প্রমুখ।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: