যেসব কারণে হীনমন্যতায় ভোগেন নারীরা

প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:৫৭ পিএম

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীরা বিভিন্ন রকম হীনমন্যতায় ভোগে। বাঙালি সমাজের মেয়েদের অবস্থা এক্ষেত্রে আরো করুণ। নিজের শরীরের গঠনশৈলী থেকে শুরু করে মানবিক সহজাত সীমাবদ্ধতাগুলো নিয়েই তাদের হীনমন্যতা বেশি। সবচেয়ে বেশি লজ্জা নিজের শরীরকে ঘিরেই পায়। নারী হিসেবে এই লজ্জাই তাদের সৌন্দর্য। কিন্তু হ্যাঁ, অমূলক লজ্জা কখনো কারো জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না। তাই সচেতনতা তৈরীর জন্য চলুন জানা যাক, নারীদের হীনমন্যতার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো।

১. ত্বকের রং: জন্মের পর পরই আমাদের দেশের মেয়েদের শরীরে কালো আর ফর্সা হবার তকমা এঁটে দেয়া হয়। কালো বা শ্যামলা মেয়ের বিয়ে হবে না, বিয়েতে যৌতুক দিতে হবে অনেক বেশি ইত্যাদি অমূলক ধারণা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে সমাজে। তাই কালো ত্বকের মেয়েদের জীবন কেটে যায় হীনমন্যতায় ভুগে ভুগে। গায়ের রঙ কখনো একজন নারীর পরিচয় হতে পারে না! মাথা উঁচু করে সদর্পে বাঁচুন। আপনার পরিচয় আপনার ত্বকের রঙে নয়।

২. ওজন: ত্বকের রঙের পরই আসে ওজনের কথা। এই সমাজ কালো মেয়ে তো তাও সহ্য করে নেয়, কিন্তু ওজন বেশি মেয়েকে কেউই মেনে নিতে চায় না। একজন নারীর একমাত্র সম্বল কি কেবল তাঁর দেহ? আর সেই দেহের কাজ কি কেবলই পুরুষকে তুষ্ট করা? উত্তর অতি অবশ্যই ‘না’। নারীর পরিচয় তাঁর দেহ নয়, সেই দেহ দিয়ে পুরুষের মন ভোলানো নারীর কাজ নয়। নিজের ওজন নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগবেন না কখনই।

৩. অসুখ গোপন করা: অসুখ স্তনে হোক বা গোপন অঙ্গে, কখনো লজ্জা পেয়ে অসুখ চেপে রাখবেন না। আমাদের দেশে অসংখ্য নারী কেবলমাত্র লজ্জাস্থানে অসুখ হয়েছে বলে ডাক্তারের কাছে যান না। বছরের পর বছর অসুখ নিয়ে বেঁচে থেকে নিজেকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন। এই ভুলটি আপনি যেন করবেন না ভুলেও।

৪. উচ্চতা: সারাজীবন লোকে আপনাকে ‘খাটো’ বা ‘বেঁটে’ বলেছে? এই সমস্যাটা পুরুষদের মাঝে অনেক বেশি হলেও নারীদের ক্ষেত্রেও কম নয়। মনে রাখবেন, সৃষ্টিকর্তা সকলকেই বিশেষ ভাবে বানিয়েছেন। আর তিনি যেভাবে তৈরি করেছেন সেটা নিয়েই সকলের খুশি থাকা উচিত।

৫. শরীরের গঠন প্রকৃতি: পুরুষেরা টেকো বা ভুঁড়িওয়ালা হলে তাঁদেরকে তো কেউ কিছু বলে না। তাহলে একজন নারীর পেট মোটা বা মাথায় চুল কম থাকলে কেন তাকে হীনমন্যতায় ভুগতে হবে? পৃথিবীর সকলেরই নানান রকম শারীরিক ত্রুটি আছে, আমরা কেউইই নিখুঁত নই। তাই নিজের শরীরকে নিজে মনের কষ্ট বাদ দিন।

৬. পিরিয়ড: এই ব্যাপারটি নারী দেহের খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার এবং প্রকৃতির এই নিয়মকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। পিরিয়ডের কথা ফলাও করে প্রচার করার কিছু নেই, কিন্তু তাই বলে পিরিয়ডজনিত কোন স্বাস্থ্য সমস্যা লুকিয়ে রাখা ও লজ্জা পাওয়ার কোন মানে নেই। লুকিয়ে রাখা মানেই নিজের সর্বনাশ ডেকে আনা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

বিডি২৪লাইভ/এএআই/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: