ভূতের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন যে নারী

প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৫৩ এএম

মানুষের সাথে মানুষের প্রেম, বিয়ে বা যৌনতা তো স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু যদি এমন হয় যে, এক নারী ভূতের সাথে শারীরিকভাবে মিলিত হচ্ছেন, তাহলে কেমন লাগবে আপনার? নিশ্চয়ই কৌতুহল হচ্ছে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানার। চলুন, আর দেরি না করে জানা যাক বিস্তারিত ঘটনাটি।

এগারো বছর আগের ঘটনা। যুক্তরাজ্যে ‘অ্যামেথিস্ট রিয়াম’ নামের এক নারী তার ছেলে বন্ধুদের সাথে যাবতীয় সম্পর্কের ইতি টানলেন হঠাৎ করে! কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন, ‘তিনি বর্তমানে অদৃশ্য কিছুর সাথে সিরিয়াস রিলেশানে জড়িয়ে পড়েছেন; আর একসাথে পরিবার গঠনেরও চেষ্টা করছেন।’

অ্যামেথিস্ট ছিলেন মূলত পেশাদার কাউন্সেলিং এক্সপার্ট। তবে তিরিশ বছরের জীবনে, গত একদশকে অন্তত বিশবার ভূত-প্রেতের সাথে শারীরিকভাবে মিলিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরেও নাকি সঙ্গী হিসেবে ছিলেন তার বহুদিনের অশরীরি প্রেমিক। অস্ট্রেলিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার ছয় মাস পরও তার এই সম্পর্ক নাকি অক্ষুন্ন রয়েছে বলেও জানান অ্যামেথিস্ট। বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি উল্লেখ করেন, ‘একদিন প্রকৃতির রাজ্যে ঘুরে বেড়ানোর সময় আকস্মিকভাবে একটা কিছু আমার উপরে ভর করে। আমি বুঝতে পারি আগের চেয়ে আমার শক্তি বেড়ে গেছে। অর্থাৎ, নতুন এক প্রেমিকের উদ্ভব ঘটেছে জীবনে।

এরপর আমরা দু’জনে এ সম্পর্ক নিয়ে বেশ সিরিয়াস হয়ে পড়ি। এমনকি আমাদের ভৌতিক বাচ্চা কিভাবে আসবে তা নিয়েও ভাবতে শুরু করি। আমি জানি হয়তো এগুলো উদ্ভট শোনাচ্ছে; কিন্তু তারপরও আমি এটা নিয়ে আছি। হয়তো অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে, তবে সে বিষয়ে আমার এ মুহুর্তে কিছু করার নেই।’

গত দশ বছরে এরকম যৌন মিলন ও ডেটিং এর বেশ কিছু অভিজ্ঞতা তার রয়েছে বলে জানান এই কাউন্সেলিং এক্সপার্ট। তবে এক্ষেত্রে সবাই প্রেগন্যান্ট হতে পারবে না। এরকম প্যারানরমাল সেক্সের ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্ট হতে কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে হবে। তিনি সেই প্রক্রিয়াও নাকি চালিয়ে যাচ্ছেন তার ভৌতিক বাচ্চার জন্মদানের জন্য।

তো সবমিলিয়ে বেশ আজব এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন অ্যামেথিস্ট রিয়াম। ক্রিস্টোফার ফ্রেঞ্চ নামে এক মনোবিদ এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, ‘ঘুমের মাধ্যমে মানুষের এরকম অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ আছে। সেসময় নিজের মনোদৈহিক অবস্থা এমন পর্যায়ে উন্নতি হয় যে অবদমিত কামনা, বাসনা এবং যৌনতা মিলিয়ে মস্তিষ্ক একটা বিচিত্র পরিবেশের মধ্যে থাকে। সেসময় মানুষ মনে করতে পারে যে, সে ভূতের সাথে যৌনতার সম্পর্ক স্থাপন করছে।’ অ্যামেথিস্ট রিয়ামের ক্ষেত্রে বিষয়টি তার ঘুমের মাধ্যমে বা মেডিটেশনের প্রক্রিয়ায় হতে পারে বলে যৌক্তিকতা দেখিয়েছেন সেই মনোবিদ। প্রকৃত সত্য কি, সেটা যাচাই করার মত উপায় অবশ্য আমাদের হাতে নেই। সূত্র: অডিটিসেন্ট্রাল ডটকম

বিডি২৪লাইভ/এএআই/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: