‘আমরা কাদেরকে নিয়ে ইলেকশন করব?’

প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:০১ পিএম

‘নির্বাচন কেন্দ্রীক তৎপরতা, যেটা শুরু হবার কথা ছিল, সেটা শুরু হওয়া উচিৎ। সেই জায়গাটা কিন্তু প্রথম ছেদ পড়ল ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার পরপরই গণহারে মামলা, গণহারে গ্রেফতার। আর এখন সর্বশেষ ১ তারিখে সমাবেশ করার পর আবার গণহারে মামলা, গণহারে গ্রেফতার, এখন আমরা কাদেরকে নিয়ে ইলেকশন করব?’

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সরাসরি টক শো অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকার ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক-অনেক বড় সমস্যা, অনেক-অনেক বিচারহীনতা যেখানে পড়ে রয়েছে যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর ধরে; সেখানে শুধু এটাকে টার্গেট করা হয়েছে পলিটিক্যাললি ভিক্টিমাইজ করার জন্য। এটা হচ্ছে পিপলস পারচেফসন। আইন, কানুন সবকিছুকে বাদ দিয়ে যদি আপনি আলাপ করেন, রাজনীতির প্রতিপাদ্য যদি হয় মূল, বিচারক হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের পারচেফসনটা কি?’

কারাবন্দি বিএনপি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন করতে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা যেহেতু ঘনিয়ে এসেছে, হঠাৎ করে সমস্থ আইনের একদম পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখাসহ ঝাপিয়ে পড়ে এটাকে করা এবং কিছু লোককে নির্ধারণ করা যে আপনারা এটাকে সমর্থন দিয়ে বলতে থাকেন।’

ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বিএনপি কিন্তু ইভিএমের বিপক্ষে না। কিন্তু আমাদের প্রস্তাবটা হচ্ছে, ইভিএম ছোটো আকারে, পাইলট প্রোজেক্ট আকারে কোথাও-কোথাও ব্যবহার করা। কারণ, ভারতে ১৯৭৭ এ ধারণাটি এসেছে। প্রথম প্রয়োগ হয়েছে ১৯৮২ এ। ভারতের মত গণতান্ত্রিক দেশে ৭ বছর পরে এটার প্রাথমিক প্রয়োগ হয়েছে, সেখানেও এখন আবার হঠাৎ করে দেখা গেছে, গড়ে ১৫ ভাগ কারচুপি হচ্ছে ইভিএমে। পৃথিবীর অন্য বহু দেশ এটা বাতিল করে দিয়েছে।’

বিডি২৪লাইভ/এসএইচআর/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: