বিএনপির অত্যাচারের শিকার হন সুজা 

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৪৫ এএম

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে অপারেশন ক্লিনহার্ট অভিযানে অনেকের মতো জনপ্রিয় সংসদ সদস্য প্রয়াত এস এম মোস্তফা রশিদী সুজাকে আটক করে নির্যাতন করা হয়। তার পায়ে পেরেক ঠুকে (ড্রিল মেশিন দিয়ে) নির্যাতন চালানো হয়। মূলত তখন থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) সংসদের শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। স্পিকার চলমান সংসদের সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী, বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ জাতীয় পার্টির আইন প্রণেতা তাজুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়াত এমপি সুজা ছিলেন ক্রিড়া অনুরাগী, সংস্কৃতি অনুরাগী এবং অত্যন্ত প্রাণবন্ত একজন নেতা ছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমাদের নেতা কর্মীদের উপর যে অত্যাচার করে সেই অত্যাচারের শিকার হন তিনি। তার পায়ে বুলেট দিয়ে ফুটো করে দেয়া হয়েছিল। তার মৃত্যুতে জাতি একজন বিজ্ঞ পার্লামেন্টিয়ানকে হারাল। জাতি তাকে চিরকাল স্বরণে রাখবে। এছাড়া বিরোধী দলের প্রয়াত চীপ হুইপ তাজুল ইসলামকেও একজন দক্ষ পার্লামেন্টেরিয়ার বলে বর্ননা করে তিনি বলেন, এদের জাতি চিরদিন স্মরনে রাখবে। সংসদে এদের অভাব কখনো পূরণ হবে না।

গত ২৬ জুলাই মোস্তফা রশিদী এবং জাতীয় পার্টির তাজুল ইসলাম চৌধুরী ১৩ আগস্ট মারা যান। 
শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাতীয় পার্টির কাজি ফিরোজ রশিদ, প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, খুলনা-৪ এর নব নির্বাচিত এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, নুরুল ইসলাম ওমর, মীর মোশাররফ হোসেন, ফখরুল ইমাম প্রমুখ। তারা সংসদে এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জাতীয় পার্টির আইন প্রণেতা তাজুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও স্মৃতিচারন করেন। 

এছাড়া ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান, সাবেক সংসদ সদস্য কল্পরঞ্জন চাকমা, মোজাফফর হোসেন, শরীফ খসরুজ্জামান, আব্দুর রউফ মিয়া, মো. ফজলে এলাহী, আলফাজ উদ্দিন, মো. আব্দুল মান্নান ম-ল, আনোয়ারা হাবীবের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

এছাড়া সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আয়ুব বখত জগলুল, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক এএইচএম মোয়াজ্জেম হোসেন, মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইন, ভাষাসংগ্রামী হালিমা খাতুন, আব্দুল বাতেন, নৃত্যগুরু বজলার রহমান বাদল, ডেইলি অবজারভারের নির্বাহী সম্পাদক আনিস আহমেদ, মুক্তিযোদা ও লেখক কামরুল হাসান ভূইয়া, বীরঙ্গনা রমা চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মোস্তাক হোসেন, দক্ষিণ সুদানে গুলিতে নিহত কমান্ডার আশরাফ সিদ্দিকী, বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিম রাজীব, মুজিবনগর সরকারের গার্ড অব অনার প্রদানকারী আনসার সদস্য লিয়াকত আলী, ইটিভির সিনিয়র রিপোর্টার মামুনুর রশিদ, অভিনেত্রী রানী সরকারের মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করা হয়। এছাড়া ভারতের কেরালায় বন্যা, ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে এবং দেশে-বিদেশে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করা হয়।শোক প্রস্তাব উত্থাপনের পর রেওয়াজ অনুযায়ী বৈঠক মুলতবি হয়।

বিডি২৪লাইভ/আরএইচ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: