জিন্স প্যান্ট পরতে না দেয়ায় বাবাকে খুন করল মেয়েরা!

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:২০ পিএম

ভারতের উত্তর প্রদেশের ঘটনা এটি। পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মেহেরবান আলি এখানে বসবাস করতেন তার পরিবার নিয়ে। স্ত্রী জাহিদার সাথে তার রয়েছে আরো চারটি মেয়ে। তাদের নাম যথাক্রমে, সাবা, জিনাত, ইরাম ও আলিয়া। মেয়েরা সবাই বয়সে তরুণী। সবচেয়ে বড় মেয়ে সাবার বয়স ২৬ বছর। অন্যদিকে ছোট মেয়ে আলিয়ার বয়স ১৮।

ফলে জীবনকে উপভোগ করার পাশাপাশি বাড়তি স্বাধীনতার জন্য ছটফট করতেন তারা। মা জাহিদারও সমর্থন ছিল এই বিষয়ে। মেয়েদের আধুনিক সাজসজ্জায় কোনো বাধা দিতেন না তিনি; উপরন্তু সুযোগ পেলে নিজেও হাজির হতেন ফ্যাশন সচেতন হয়ে। অপরদিকে তার স্বামী মেহেরবান আলি ছিলেন বেম রক্ষণশীল মানসিকতার। ফলে যা হবার তাই হল আদর্শিক দ্বন্দ্ব বেঁধে গেল পরিবারের অভ্যন্তরে। সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ বাধে জিন্স প্যান্ট পরাকে কেন্দ্র করে। সেখান থেকে চলতি বছর ঘটে যায় ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনা!

কদিন বাদেই মারা পড়েন মেহেরবান আলি। বাড়ি থেকে ২৫০ মিটার দূরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আটক হন মা ও তার চার মেয়ে। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দেন তারা। জিন্স পরতে না দেয়ায়, রাগান্বিত হয়ে মা ও মেয়েরা মিলে ভাড়াটে খুনী ঠিক করেন। এক লক্ষ বিশ হাজার রুপির বিনিময়ে রাজি হয় আততায়ীরা। নির্দিষ্ট দিনে খুনীরা এসে হত্যা করে মেহেরবান আলিকে। এরপর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে লাশ রেখে পালিয়ে যায়।

পুলিশ নিকটস্থ সিসি ক্যামেরা দেখে খুনীদের সনাক্ত করে। অবশ্য তাহসিন ও এহসান নামের দুই আততায়ী পালিয়ে গেছে ততক্ষণে। পুলিশ তাদের ধরার জন্য অভিযান শুরু করে। আর মা ও মেয়েরা হাজতে রয়েছেন, বিচার শেষ না হওয়া অবধি। তো নৈতিকতা ও মূল্যবোধের দ্বন্দ্বে শেষ পর্যন্ত, খুনের ঘটনা ঘটল, তা থেকে আমাদের সবারই অনেক কিছু শেখার আছে। কাউকে বল প্রয়োগ করা একদিকে যেমন অনুচিত; তেমনি অনুশাসনের কথা বললেই কাউকেকে হত্যা করা তার চেয়েও গর্হিত অপরাধ।

বিডি২৪লাইভ/এএআই/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: