সেই ১২ শিক্ষার্থীর দুই দিন করে রিমান্ড

প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৫০ পিএম

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলার সময় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সেই ১২ শিক্ষার্থীর দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নিরু মিয়া আসামিদের আদালতে হাজির করেন সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত প্রত্যেককে দুদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, কামাল হোসেনসহ অনেকেই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

রিমান্ডে যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- তারেক আজিজ, তারেক, জাহাঙ্গীর আলম, মো. মোজাহিদুল ইসলাম, মো. আল আমিন, জহিরুল ইসলাম, মো. বোরহান উদ্দিন, ইফতেখার আলম, মেহেদী হাসান রাজিব, মো. মাহফুজ, সাইফুল্লাহ ও রায়হানুল আবেদিন।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা তিনটার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টার দিকে তেজকুনি পাড়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ওই ১২ জনকে আটক করা হয়। এদের অনেকেই ছাত্র আবার অছাত্রও রয়েছে।

গ্রেফতাররা হলো- তারেক আজিজ, মো. তারেক, জাহাঙ্গীর আলম, মোজাহিদুল ইসলাম, আল আমিন, জহিরুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন, ইফতেখার আলম, মেহেদী হাসান রাজিব, মাহফুজ, সাইফুল্লাহ ও রায়হানুল আবেদীন।

আটকের সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ভুয়া আইডি কার্ড, স্কুল ড্রেস, শিবিরের বেশ কিছু বই, হাতুড়ি, প্লায়ার্স, কাটার, ছুরি, তিনটি ল্যাপটপসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র জব্দ করা হয়।

মাসুদুর রহমান বলেন, তারেক আজিজ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে আন্দোলনের সময় গুজব ছড়ানো হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ওপর চোর লিখে দিয়েছিল। ধানমন্ডিতে চারজনকে ধর্ষণ করা হয়েছে, চারজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, পুলিশ ঘুষ খায়, মন্ত্রী এমপি সবাই চোর ইত্যাদি লেখা হয়েছিল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া সবাই শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত। তাদের কেউ সদস্য আবার কেউ ওয়ার্ড সভাপতি রয়েছে।

তবে পরিবার দাবি করেছে তাদের ৫ দিন আগে তুলে আনা হয়েছে। সে ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিসি বলেন, পরিবার কী দাবি করলো তা জানার বিষয় না। পুলিশ তাদের গতকাল রাতে গ্রেফতার করেছে। তারা পালিয়েও থাকতে পারে। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এসব শিক্ষার্থী অনুপ্রবেশ করে ভিন্ন স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছিল।

তিনি বলেন, ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ১২ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ড পেলে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে আসবে। আমরা অনেককেই ধরেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদ করে ১২ জনকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

হেলমেট পড়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী কারো খোঁজ মিলেছে কিনা জানতে চাইলে ডিসি বলেন, তাদেরও চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এদের কাছ থেকেও হ্যান্ড মাইক, হাতুড়ি ও ছুরি পাওয়া গেছে। হেলমেট বাহিনীকেও পাওয়া যাবে।

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: