ভারত থেকে ৯,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হবে

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৫৮ এএম

উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ৯,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্বোধন অনষ্ঠানে এ কথা বলে তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার গণভবন থেকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও কলকাতা ও আগরতলা থেকে এ ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশের আরও শক্তি প্রয়োজন। সরকার আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামোর আওতায় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করার পরিকল্পনা করছে।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানিতে মোদির সরকারের কাছে সহায়তা চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত থেকে আমরা আরও তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে যাচ্ছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু দেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এজন্য প্রতিবেশী দেশ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা গত সাড়ে নয় বছরে ৩,২০০ মেগাওয়াট থেকে ২০০০০ মেগাওয়াটের বেশি বেড়েছে। সরকার আরো ১৩,৬৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৫৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে।

অন্যদিকে শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে তার দেশ একটি গর্বিত অংশীদার হতে চেয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বর্তমান যে সুসম্পর্ক রয়েছে আজ থেকে আমরা আরও কাছে এলাম। আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হলো।’

মোদি  আরও বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় তিনি আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রফতানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আগে বাংলাদেশে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করতো ভারত এখন এই পরিমাণ এক দশমিক ছয় গিগাওয়াটে উন্নীত হলো।

অনুষ্ঠানে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশকে আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সম্মত রয়েছে পশ্চিম বাংলা। 

তিনি এর আগেই শেখ হাসিনাকে তার এই আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করে বলেন, এজন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। কেন্দ্র অনুমোদন দিলে পশ্চিম বাংলা এই বিদ্যুৎ দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ‘আগরতলা-আখাউড়া ডুয়েল গেজ রেল সংযোগ নির্মাণের বাংলাদেশ অংশ’ প্রকল্প এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশন পুনর্বাসন’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: