রিংটোনে কী আজান বা কুরআনের তিলাওয়াত দেয়া জায়েজ?

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৫৪ পিএম

কোরআনের প্রতি মানুষের মুগ্ধতা ও ভালবাসা চিরকালীন। থাকার ঘরে একটুকরো কাগজে কোরআনের আয়াত লিখে ঝুলিয়ে দেওয়া। ব্যবসার সফলতার জন্য মাথার ওপর সুরা লিখে রাখা। যানবাহনে কোরআনের ক্যালিওগ্রাফি বরাবরই আমাদের চোখে পড়ে। সবই সরলমনা বিশ্বাসী মানুষের আবেগের ছবি। আজকের সমাজে মোবাইলে কোরআনের রিংটোন বাজানোর প্রবণতাও বেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোরআনের আয়াত, দরূদ শরিফ, জিকির কিংবা আজানের সুর ভেসে আসছে মোবাইল থেকে। সন্দেহ নেই যারা কাজটি করছেন তারাও দরূদ, আজান বা এই পবিত্র গ্রন্থের সুরলহরির প্রতি মুগ্ধতা ও আলাদা টান থেকেই করে যাচ্ছেন।

কুরআনের তেলাওয়াত, আজান, জিকির ও তাসবীহ সবকিছুই অতীব মর্যাদাপূর্ণ বিষয়। তবে, মোবাইলের রিংটোন হিসেবে এগুলোর প্রয়োগ অপব্যবহারের অন্তর্ভূক্ত।

কারণ মোবাইলে রিং এসেছে, কেউ কথা বলতে চায় এই খবর দেওয়ার জন্য। আর এই কাজে আল্লাহ তাআলার পবিত্র কালাম ওহী, জিকির ও তাসবীহের ব্যবহার যে এগুলোর অপাত্রে ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।

আজান, জিকির, তাসবীহ ও কুরআনের তেলাওয়াত ইত্যাদি রিংটোন হিসাবে ব্যবহারে ইসলামী শরীয়তে অনেক আপত্তি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ:

* রিং আসলে কুরআনের তিলাওয়াত বেজে উঠছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ব্যস্ততার কারণে তিলাওয়াতের প্রতি ভ্রক্ষেপ করারই সুযোগ হয় না। তদ্রুপ কে রিং করেছে তা দেখা ও কল রিসিভ করার ব্যস্ততা তো লেগেই থাকে এ কারণেও তিলাওয়াতের আদব রক্ষা করে শ্রবণ করা হয় না।

* রিং আসলে যেহেতু রিসিভের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে এবং এটিই মূল উদ্দেশ্য থাকে তাই আয়াতের যেকোনো স্থানেই তিলাওয়াত চলতে থাকে সে দিকে ভ্রক্ষেপ না করে রিসিভ করে ফেলে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উচ্চারিত অংশের বিবেচনায় আয়াতের অর্থ বিকৃত হয়ে যায়।

* মোবাইল নিয়ে টয়লেট কিংবা বাথরুমে প্রবেশের পর রিং আসলে অপবিত্র স্থানে আল্লাহ তাআলার পবিত্র কালাম, জিকির ও আজান বেজে উঠবে, এতে এগুলোর পকিত্রতা ক্ষুন্ন হয়।

মোটকথা অনেক কারণেই তিলাওয়াত, আজান ও জিকিরকে রিংটোন হিসাবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। (ফাতওয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩১৫; রদ্দুল মুহতার ১/৫১৮; মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ.আলকাফী ১/৩৭৬; আলআশবাহ ৩৫)। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।


বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: