‘নগরভবনে কোনো দলবাজি করতে দেয়া হবে না’

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৫৫ পিএম

নগরভবনে কোনো দলবাজি চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এসময় তিনি রাসিকের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির আয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে রাসিকের আয় ২০০ কোটি টাকা করা হবে। রাসিকের সাবেক ও বতর্মান কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথাগুলো বলেন। শাহীন আকতার রেনীর উদ্যোগে বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাসিক’এর মেয়র লিটনের নিজ বাসভবন এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘দুটি বিষয়ের ওপর আমরা কোন আপোষ করব না। যার একটি হলো বাংলাদেশ সৃষ্টিই হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না, তিনি অবিসংবাদী নেতা, হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যাপারে আশা করছি কারো মধ্যে কোনো দ্বিধা থাকবে না, থাকা উচিতও না। অন্যটি হলো উন্নয়নের প্রশ্নে নগরভবনে কোনো দলবাজি করতে দেয়া হবে না। গেটের বাইরে রাজনৈতিক আলোচনা বা তর্ক রেখে সিটি ভবনে প্রবেশ করতে হবে। রাজশাহীর উন্নয়নের প্রশ্নে সকল ওয়ার্ডকে সমান গুরুত্ব দেয়া হবে। বিএনপি-জামায়ত সমর্থিত কাউন্সিলর বলে তাকে প্রজেক্ট দেয়া হবে না বিষয়টি এমন নয়। জনগনই তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। যার ওয়ার্ডে যতটুকু উন্নয়ন প্রয়োজন তাই করা হবে। উন্নয়নের স্বার্থে এখানে দলমত বিচার করা হবে না।’

জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার সন্তান মেয়র লিটন বলেন, ভাঙা সড়কে বালি ফেলা বা ড্রেন পরিস্কার করাই শুধু মেয়ররের কাজ নয়। আমি রাজশাহীর সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে চাই। ঢাকা বিরতীহীন ট্রেন চালু করা এটি মেয়রের কাজ নয়। তবুও আমি এ ব্যাপারে এর মধ্যেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা চূড়ান্ত হয়েছে। তিনি আমাকে ডিও লেটার দিতে বলেছেন।

তিনি বলেছেন, নতুন কোচ, নতুন ইঞ্জিন আসলে রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিরতীহীন ট্রেন চালু করে দিব। এছাড়া আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে রাজশাহী থেকে কলকাতা সরাসরি ট্রেন চলাচল বাস্তবায়ন করা হবে। রাজশাহীর সন্তান হিসেবে কাজগুলো আমাকেই করতে হবে।

আগামী দু-এক বছরের মধ্যে রাজশাহী সিটিতে মানুষের সংখ্যা ১২লাখ ছাড়িয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এর কারণ শুধু জন্মহার বৃদ্ধি নয়। কারণ একটি নগর যখন উন্নতির দিতে এগিয়ে যায় তখন সেখানে অন্যান্য অঞ্চল থেকে মানুষ ভিড় করে। রাজশাহীতে আমরা যে উন্নয়নের ধারা শুরু করেছি তাতে এই নগরেন আকর্ষণে সবাই এখানে আববে বসবাস করতে।

সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বাড়ানো হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি যখন দায়িত্ব নিচ্ছি তখন সিটি কর্পোরেশনের ঘাড়ে ১০১ কোটি টাকা দেনা। এই দেনার বাইরেও আরও নানা ঋণ রয়েছে। এখন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বার্ষিক আয় প্রায় ৫০ কোটি। আগামীতে এই সিটি কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধি করা হবে। আমরা সকলে খুঁজে বের করব কীভাবে সিটি কর্পোরেশনের আয় আরও বৃদ্ধি করা যায়। আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই সিটি কর্পোরেশনের বার্ষিক আয় ২০০ কোটি টাকায় উন্নিত করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের আয়ের অভাবে আগামীতে এখানে কর্মরত আর কারও বেতন বন্ধ থাকবে না।

কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পত্নী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোমিন, কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, মাহাতাব চৌধুরী প্রমুখ। সভা শেষে মধ্যহ্নভোজে অংশ নেন সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলরবৃন্দ ও কর্মকর্তারা।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: