চোট নিয়ে খেলছেন অনেকে: জুনিয়রদের ওপর অনাস্থা?

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৫৫ পিএম

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাকিব আল হাসান জানুয়ারি মাস থেকেই চোটগ্রস্ত, মুশফিকুর রহিমের পাজরের নবম হাড়ে চোট আছে বলে জানা গেছে এবং তামিম ইকবাল বা হাতে চোট পেয়ে বেশ লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন।

চোট নিয়েই নিদাহাস ট্রফি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও এশিয়া কাপ খেলছেন সাকিব। এশিয়া কাপ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে জানা গেছে মুশফিকের চোটের কথা।

কিন্তু প্রতিনিয়ত এমন হচ্ছে যে পুরোপুরি সুস্থ না হলেও সিনিয়র ক্রিকেটাররা খেলে যাচ্ছেন।

নাজমুল আবেদীন ফাহিম বাংলাদেশের একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেট কোচ। তিনি বলেন, তামিম ইকবালের ইনজুরিটা আগে থেকে এমন ছিল না। শনিবার চোট পেয়েছে বলে এমন হয়েছে। আর মুশফিক যে খেলতে পারেন সেটা তো প্রমাণই করেছে। প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে বিবিসি বাংলা।

ওই প্রতিবেদনে প্রশ্ন উঠেছে: নির্বাচকরা কি তাহলে নতুন ক্রিকেটারদের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না?

মি. ফাহিমের মতে, ‘আমরা যতটা আশা করেছিলাম নতুন ক্রিকেটারদের নিয়ে সেরকম অংশীদার তারা হতে পারেননি। কখনো কখনো ভাল করেন কেউ কেউ, কিন্তু সেটা দীর্ঘমেয়াদী হয় না। সেকারণেই সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর আস্থাটা এমন বেশি।’

বাংলাদেশের একজন সাবেক নারী ক্রিকেটার সাথিরা জাকির জেসি বলেন, ‘একজন সিনিয়র যে সুযোগ পান জুনিয়ররা যদি একটু ভাল পারফর্ম করেন তাহলে কিন্তু তারা সিনিয়রদের চেয়েও বেশি সুযোগ পান। কিন্তু তারা এখন পারফর্ম করছে না। যেমন সৌম্য, সাব্বির, সৈকতরা বেশ সুযোগ পেয়েছেন। সৌম্য-মোসাদ্দেকরা যেভাবে শুরু করেছেন তাদের সেই শুরুটা এখন আর নেই।’

কিন্তু একটা সময় যখন তামিম, মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদুল্লার মতো ক্রিকেটাররা থাকবেন না তখন এই ক্রিকেটারদের ভালো করতেই হবে বলে মনে করেন মিজ. জেসি।

আর সাকিবের বিষয়ে নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নেন কোন প্রতিযোগিতায় তিনি অংশ নেবেন আর কোনটায় অংশ নেবেন না। এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টে সাকিব না থাকলে অনেকটা ভারসাম্য হারায় দল। এজন্য এই টুর্নামেন্টের পরে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রিকেট প্রশাসন।

সাথিরা জাকির জেসি বলেন, অনুর্ধ্ব ১৯ থেকে শুরু করে 'এ' দলে অনেক ক্রিকেটার আছে কিন্তু সাকিবের জায়গা নেয়ার মতো ক্রিকেটার আছে কি না সেটা দেখার বিষয়।

‘মুশফিক ম্যাচের আগে খানিকটা হয়তো অসুস্থ বোধ করছিলেন। কিন্তু মুশফিক যদি মনে করেন যে তিনি কিপিং ও ব্যাটিং করতে পারেন সেটা তার একান্ত সিদ্ধান্ত,’ এমন মত মি. ফাহিমের।

নামজুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘মুশফিকের মানের একজন ব্যাটসম্যান যখন নিজের ইচ্ছায় কিপিং করেন তখন নির্বাচকদের ওপর চাপ কমে যায়। যদি একজনকে শুধু কিপার হিসেবে নেয়া হয়, এবং সে যদি ব্যাটিং ভালো না করে, তারপরেও তাকে দলে রাখতে হয়। তাই মুশফিক কিপিং করলে সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ হয়।’

সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি সিরিজে রানের জন্যে তামিমের ক্ষুধা ছিল বলে মনে করেন মি. ফাহিম। তিনি বলেন, তামিম ইকবালের অভিজ্ঞতা ও ড্রেসিং রুমে তার প্রভাবটা বাংলাদেশ দল মিস করবে।

তার মতে, বাংলাদেশ অনেক দিন ধরে একজন দ্বিতীয় ওপেনারের খোঁজে আছে। সেক্ষেত্রে প্রথম চয়েস তামিমের না থাকাটা অবশ্যই ভোগাবে।


বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: