যৌতুকের মিথ্যা মামলা করলে পাঁচ বছরের জেল

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:০১ পিএম

যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলা করলে পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে নতুন বিল করা হয়েছে।

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’ নামের বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিলটির উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সংসদে পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কাউকে ক্ষতি করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে ৫ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।

বিলে আরো বলা হয়, যদি বিয়ের কোনো এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করেন তজ্জন্য তিনি অনধিক পাঁচ কিন্তু অন্যূন এক বছরের জেল বা অনধিক ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে উল্লেখ বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে এসংক্রান্ত মামলা আপসযোগ্য হবে।

বিলের কারণ ও উদ্দেশ্য সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যৌতুক প্রথা এক ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। এ কারণে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিকল্পনা প্রণয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্থ হয়। এই যৌতুক প্রথা অবসানের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের অধ্যাদেশ-এর আলোকে নতুন আইন প্রণয়নে বিলটি আনা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রণীত বিল প্রণীত হয়েছে। অপরাধ বিচার আপীল ও তদন্তে কোড অব সিভিল প্রসিডিউর ১৮৯৮-এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হবে।

গত ২৫ জুন জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ওই বিলটি উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নে বিলটি তোলা হয়। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনো দন্ডের বিধান ছিলো না।

বিডি২৪লাইভ/এএস/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: