শারীরিক সম্পর্ক গড়াই তার কাজ!

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:১৮ পিএম

প্রেমের অভিনয় করে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়াই তার কাজ। সেই সঙ্গে একাধিক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে সে। ইতোমধ্যে করেছে চারটি বিয়ে। এরপরও অপকর্ম থামেনি তার।

এবার টাঙ্গাইলের কিশোরী রুমি আক্তারের (১৬) সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে সিলেটের বিশ্বনাথে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে শফিক মিয়া। এ ঘটনায় মঙ্গলবার শফিক মিয়াকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার শফিক বিশ্বনাথের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। কিশোরী রুমি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে শফিক।

বুধবার দুপুরে নগরের বন্দরবাজারস্থ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের একটি বাড়ির পাশ থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে শফিক টাঙ্গাইলের নাছির গ্লাস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। ফ্যাক্টরি থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে চারটি বিয়ে করেছে শফিক। বিশ্বনাথ থানায় গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি শফিক।

পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান আরও বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি ছিল মির্জাপুর থানার আতাউর রহমানের মেয়ে রুমি আক্তার। একই হাসপাতালে শফিকের শাশুড়িও চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানে ওই কিশোরীর সঙ্গে শফিকের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের অভিনয় করে রুমিকে সিলেট নিয়ে আসে শফিক। এরপর তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। রুমিকে হত্যার দৃশ্য শফিকের এক ভাবি দেখে ফেলে।

এ ঘটনায় শফিকসহ এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিক রুমিকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার শফিককে আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে।

গ্রেফতার শফিক দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে সুন্দরী তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বেডরুমে নিত এবং একের পর এক হত্যা ও ধর্ষণ করে বেড়াত বলেও জানান পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।

বিডি২৪লাইভ/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: