পরকীয়া প্রেমে বাধা, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাণ্ড স্বামীর!
প্রহ্লাদ কয়াল ও পারমিতা কয়াল ভালোবেসে দু’জন বিয়ে করেন। ভালোবাসার সম্পর্কের কারণে পরিবারের অমতেই প্রহ্লাদকে বিয়ে করেছিলেন পারমিতা। কিন্তু, পারমিতা কপালে সুখ যেন অধরাই রয়ে গেল।
পারমিতা কয়াল নামে ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি, ঘুষি মারার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০১০ সালে কোলাঘাটের খন্নাডিহি মনসাতলার বাসিন্দা প্রহ্লাদ কয়ালের সঙ্গে বিয়ে হয় একই পাড়ার পারমিতা কয়ালের। প্রহ্লাদ ও পারমিতার মধ্যে দীর্ঘদিনের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। যদিও পারমিতা কয়ালের পরিবার তাদের সেই সম্পর্ককে মেনে নেননি। পরে পরিবারের অমতেই প্রহ্লাদকে বিয়ে করেন প্রেমিকা পারমিতা।
বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পারমিতা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বিয়ের ৭ বছর পর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বামী প্রহ্লাদ। এক সময় গিয়ে স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারেন পারমিতা। এরপর স্বামীর এমন সম্পর্কের প্রতিবাদ করেন তিনি। তারপর থেকেই স্ত্রী পারমিতার ওপর অমানবিক অত্যাচার শুরু করেন প্রহ্লাদ। শুধু স্বামীই নয় পারমিতার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনও।
যতই দিন যেতে থাকে ততই অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে পারমিতার ওপর। তবুও এসব কথা বাবার বাড়িতে জানাননি পারমিতা। ইতোমধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য গর্ভবতী হয়ে পড়েন পারমিতা।
গৃহবধূ পারমিতার অভিযোগ করেন, কয়েকদিন ধরেই তার ওপর অত্যাচারের মাত্রা অধিক হারে বাড়ে। এমনকি তাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য শুরু হয় প্রচণ্ড মারধর।
আর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পারমিতা এটা সহ্য করতে না পেরে, শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে বাবার বাড়ি আসার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু, তাতেও পারমিতার পিছু ছাড়েনি স্বামী প্রহ্লাদ। শুরু তাই নয়, পারমিতাকে রাস্তায় ফেলে পেটে লাথি, ঘুষি মারেন প্রহ্লাদ।
এ খবর শোনার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পারমিতার মা। অভিযোগ রয়েছে, তাকেও মারধর করা হয়।
এদিকে, মারের চোটে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন পারমিতা কয়াল। জানা যায়, বর্তমানে পারমিতাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় কোলাঘাট বিট হাউজ থানায় অভিযোগ করতে যান নির্যাতিতা পারমিতার পরিবারের লোকজন। কিন্তু পারমিতার পরিবারের দাবি, থানায় কোনো অভিযোগ না নিয়েই তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: