ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:০৫ পিএম

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে শিক্ষক কর্তৃক ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা, অবিভাবক ও গ্রামবাসীরা বলছে দোষী শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তি হোক। যেন এমন ঘটনা আর ঘটাতে না পারে।

গ্রামবাসী বলছে ওই শিক্ষক এর আগেও অনেক ছাত্রীর সাথে শ্লীলতাহানি, জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা, কু-প্রস্তাবসহ নানা অপকর্মের সাথে লিপ্ত ছিল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে ও প্রভাবশালী শিক্ষক আবজালুর রহমান আবজাল প্রতিবার এসব ঘটনা ঘটিয়ে পার পাচ্ছে খুব সহজে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গা খাড়াগুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিদ্যালয়ের সহকারি গ্রন্থাগারিক শিক্ষক আবজালুর রহমান আফজাল ৭ম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছিল। ক্লাস শেষে সবাই বাইরে বেরিয়ে আসলে ৭ম শ্রেণির ওই ছাত্রী ক্লাস রুমে একা থাকায় অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানসহ বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়।

শিক্ষক আফজাল বিষয়টি কাউকে না জানাতে নিষেধ করে ওই ছাত্রীকে। কিন্তু স্কুলছাত্রী বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে বিকালে বাড়ি ফিরে বিষয়টি তার মাকে জানায়।

বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলছাত্রীর পিতা, অন্য অবিভাবক ও গ্রামবাসী মিলে স্কুলে প্রধান শিক্ষককে জানাতে যায়। পরে স্কুলছাত্রীর পিতা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়।

শুক্রবার বিকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কালুপোল গ্রামে অবস্থিত খাড়াগুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষকরা জরুরি সভায় বসে। সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার এবং তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ৫ কার্য দিবসের মধ্য প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায়।

স্কুলছাত্রীর পরিবার দরিদ্র হওয়ায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিন যাপন করছে। 

শনিবার দুপুরে স্কুলছাত্রীর বাড়ি গিয়ে দেখা যায় সে কান্না-কাটি করছে। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে ঘরের মধ্য একা থাকছে।

গ্রামবাসী, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের দাবি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার হোক যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে। প্রায় তিন বছর আগে বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির অপর এক ছাত্রীর সাথে একই ঘটনা ঘটিয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষক।


বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: