শ্বশুরের সামনেই পুত্রবধূর যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া ঢুকিয়ে নির্যাতন

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:৪৮ পিএম

খুবই নির্মম একটি ঘটনা। কেননা, শ্বশুরকে গাছে সঙ্গে বেঁধে রেখে তার সামনেই পুত্রবধূকে নগ্ন করে চলছে মারধর! একপর্যায়ে ওই গৃহবধূর যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়ো ঢুকিয়ে দিয়ে চলে বর্বর, নারকীয় অত্যাচার।

এ সময় যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে ওই নারী। এখানেই শেষ নয়, পুরো ঘটনাটি মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরে ওই নারীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় পশুর দল। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

ভারতের অসমের করিমগঞ্জ এলাকায় গত ১০ সেপ্টেম্বর এমনই একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শিউরে উঠছেন অনেকেই।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে সেটি।

নির্যাতিতা ওই নারী করিমগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে অসম পুলিশের ডিজি কুলধর সইকিয়া বলেছেন, ‘পুলিশে অভিযোগ জানালে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলে নারীকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। আমরা ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি অভিযুক্তদেরও খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।’

করিমগঞ্জের অসম-মিজোরাম সীমানার আদিবাসী অধ্যুষিত মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা ওই নারী অভিযোগপত্রে লিখেছেন, ‘১০ সেপ্টেম্বর সকালে আচমকাই দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ে ৬ থেকে ৭ জন যুবক। দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাওয়া ৮৫ হাজার টাকা তাদের দিয়ে দিতে হবে। আমি অস্বীকার করতেই বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে। তার মধ্যেই বাড়িতে জড়ো হন গ্রামবাসীরাও। আমার শ্বশুরকে গাছে বেঁধে ফেলে ওরা। তার সামনেই আমাকে নগ্ন করে চলে মারধর। শেষে আমার যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া ঢুকিয়ে দেয়। টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি পর ওই অবস্থাতেই আমাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সবাই।’

এ ব্যাপারে করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায় জানান, ওই নারীর ওপর অত্যাচার, অমানবিক মারধর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনেও আলাদা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত, তা চিহ্নিত করে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া জারি রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায়।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: