পরাজয় মেনে নিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন!

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:০৬ এএম

নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন মালদ্বীপের চীনপন্থী প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন। এর আগে দেশটির নির্বাচন কমিশন ভোটের ফল ঘোষণা করে। তবে তার আগেই নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেন চার দলীয় জোটের নেতা ইব্রাহিম মোহাম্মাদ সোলিহ।

প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারেন এমন আশঙ্কার মধ্যে রোববার দেশটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ের পরও তিন ঘণ্টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

যদিও আশঙ্কা ছিল, ইয়ামিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারেন এবং যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে পারেন। গত কয়েক বছরে বিরোধীদের ওপর তিনি ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ ও দুইজন বিচারককেও আটক করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

নির্বাচনের আগেই অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হুমকি দিয়েছিল যে, ভোট কারচুপি হলে দেশটির ওপর অবরোধ আরোপ করা হবে।

আলজাজিরা বলছে, সোমবার সকালে দেশটির নির্বাচন কমিশন ভোটের ফল ঘোষণা করে। ফলাফল অনুযায়ী, বিজয়ী ইব্রাহিম পেয়েছেন ৫৮ শতাংশ ভোট। আর ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন পেয়েছেন ৪২ শতাংশ ভোট। নির্বাচনে প্রায় ৮৯ শতাংশ ভোটার উপস্থিত ছিলেন।

দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের সাড়ে ৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় আড়াই লাখ লোক ভোটার।

সোমবার ৫৯ বছর বয়সী ইয়ামিন এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘মালদ্বীপের জনগণ যে রায় দিয়েছে আমি তা মেনে নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

তার আগে ইব্রাহিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি খুশির দিন, এটি ঐতিহাসিক দিন। আমি মালদ্বীপের জনগণের প্রেসিডেন্ট।’

মালদ্বীপের ইসলামিক সংস্কৃতি রক্ষা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে লড়েন ইয়ামিন।

১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে অভ্যুত্থান ঠেকাতে দেশটিতে সেনা ও যুদ্ধজাহাজ পাঠায় ভারত। তখন থেকেই দেশটিতে নয়াদিল্লির প্রভাব বজায় ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইয়ামিন চীনের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। বেইজিং দেশটির অবকাঠামো খাতে বেশ অর্থ বিনিয়োগ করে। বেইজিং ও মালের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তিও হয়। ফলশ্রুতিতে ভারত মহাসাগরে চীনের আধিপত্যও বাড়তে থাকে।

স্বাভাবিকভাবেই ইয়ামিন সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনে বিরোধী পক্ষকে সমর্থনও দিয়েছে নয়াদিল্লি। এসব কারণে রোববারের নির্বাচনে তীক্ষ্ম দৃষ্টি রেখেছিল নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন, বেইজিং ও রিয়াদ।

নির্বাচনে বিজয় লাভ করার পর বিবৃতি দিয়ে ইব্রাহিমকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত ও আমেরিকা।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: