ফেসবুকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:৫৪ পিএম

বাংলাদেশের মতো সারা বিশ্বেই জনপ্রিয় ফেসবুক। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রতি মাসে ২০০ কোটি লোক এই মাধ্যম ব্যবহার করে। ফেসবুক ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এত বেশি ব্যবহারকারী নেই। ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটাসের হিসাব অনুযায়ী, এশিয়ায় ফেসবুকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এই মাধ্যম ব্যবহারকারী প্রতি তিনজনের একজনই এই মহাদেশের বাসিন্দা।

তবে, এবার এ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক সাবেক কর্মী। তিনি দাবি করেছেন, প্রতিষ্ঠানটির মডারেটররা অনেক বিভৎস কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করলেও তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক।

ফেসবুকে প্রতিনিয়ত নানা রকম কন্টেন্ট প্রকাশ করা হয়। এসবের মধ্যে মানুষ জবাই দেয়া থেকে শুরু করে শিশু নিগ্রহ অবধি নানা ধরনের বিভৎস কন্টেন্টও থাকে। ফেসবুকের যেসব মডারেটর কন্টেন্ট যাচাই-বাছাই করেন, তাঁদের অনেক সময় বাধ্য হয়েই সেসব ছবি এবং ভিডিও দেখতে হয়, যা তাঁদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে।

২০১৭ সালের জুন মাসে নয় মাসের জন্য ফেসবুকে চাকরি নিয়েছিলেন স্কলা। চাকুরিরত অবস্থায় মানসিক সমস্যায় পড়েন ২৮ বছর বয়সি এই নারী। তাঁর এক আইনজীবী শুক্রবার জানিয়েছেন, আমাদের খদ্দের ফেসবুকের কাছে একটি ‘মেডিক্যাল মনিটরিং ফান্ড তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন, যা দিয়ে মানসিক সমস্যায় ভোগা কন্টেন্ট মডারেটরদের সহায়তা করা হবে।’

ইতোমধ্যে মামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। তবে প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের স্বার্থরক্ষার বিষয়াদি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বলেও জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে এক ফোরাম পোস্টে ফেসবুক উল্লেখ করেছিল, প্রতিষ্ঠানটির সাড়ে সাত হাজার কন্টেন্ট মডারেটরের একটি টিম রয়েছে, যার আকার ক্রমশ বড় হচ্ছে। এই টিমের মধ্যে যাঁরা বিভৎস কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের দেখভালের জন্য চারজন মনরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছে বলেও দাবি করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সামাজিক যোগাযোগ সাইটটি।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: