‘আকিজের লক্ষ্যই ক্রেতাকে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য দেয়া’

প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৫৫ পিএম

হিন্দোল রায়। আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের চীফ মার্কেটিং অফিসার। রোববার (৭ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে আকিজ গ্রুপ নিয়ে কথা বলেছেন বিডি২৪লাইভের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শাহাদাত হোসেন রাকিব।

বিডি২৪লাইভ: আকিজ গ্রুপ দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান। এত বড় প্রতিষ্ঠানের চীফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে কেমন লাগছে?
হিন্দোল রায়: চাকরিটা হচ্ছে হটসিটে বসার মতো। এটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, যেহেতু এটি একটি বড় কোম্পানি। সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হয়, এই কোম্পানির একটা বড় সুনাম আছে, এই কোম্পানির একটা নীতি রয়েছে। নীতির বাইরে আমরা কোনদিন যাই না, যেতেও পারি না। অন্য অনেক কোম্পানি অনেক কিছু করতে পারে, কিন্তু আমরা সেটা করতে পারি না। আমরা সবসময় একটা জিনিসই লক্ষ্য রাখি, ক্রেতাকে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দেয়া।

বিডি২৪লাইভ: আপনারা নিজেরা কি আপনাদের কোম্পানির পণ্যগুলো ব্যবহার করেন?
হিন্দোল রায়: অবশ্যই। আমরা আকিজের বিভিন্ন পণ্য সবাই ব্যবহার করি। যে পণ্য আমরা নিজেরা ব্যবহার করতে পারব, আমাদের নিজেদের পরিবারের হাতে তুলে দিতে পারব। আমরা পণ্যের সেই মান লক্ষ্য রেখেই পণ্য তৈরী করি। যে সব পণ্য নিজের পরিবারকে ব্যবহার করতে দিতে পারব না, আমরা সে পণ্য এখন পর্যন্ত তৈরী করিনি এবং ভবিষ্যতেও করব না। পণ্যের মানের দিকে আমরা সব সময় খেয়াল রাখি।

&dquote;&dquote;বিডি২৪লাইভ: ব্র্যান্ড মার্কেটিংয়ের মূল কাজটা কি? আর বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল যুগের নতুন ক্ষেত্র ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনার প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মার্কেটিংকে কিভাবে দেখছে?
হিন্দোল রায়: ব্র্যান্ড একটা পণ্যের পরিচয় প্রকাশ করে, পরিচিতি বাড়ায়। আমাদের চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়, আমাদের পণ্য যাতে সবসময় অন্যান্য পণ্যের আগে আপনার মাইন্ডে কাজ করে। অর্থাৎ আমাদের ব্র্যান্ড সবসময় আপনার মনে রাখতেই হবে, সেভাবেই আমরা কাজ করি। আমাদের পণ্যগুলো সবাই একনামে চেনে।

প্রথমে ছিল খবরের কাগজ। তারপর হল রেডিও। তারপর হল টেলিভিশন। এখন আসল মোবাইল ফোন। আগে মানুষের কাছে সময় ছিল, তাই সারাদিন খবরের কাগজ পড়ত। তারপর রেডিও যখন আসল তখন রেডিও শুনত। এরপর টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও একই, সবাই টেলিভিশন দেখত। এখন আমাদের কাছে সময় খুব কম। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এখন তরুণরা সবচেয়ে বেশি একটিভ থাকে। এসব চিন্তা করে আমরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানারকম বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকি। তবে আমরা এটা লক্ষ্য রাখি, যে বিজ্ঞাপনই করব তা যাতে ভালো অর্থ বহন করে। আমি এমন কিছু দেখাব না বা করব না, যা সমাজে কোন এফেক্ট ফেলে।

বিডি২৪লাইভ: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো এখন গুজবের ছড়াছড়ি। বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
হিন্দোল রায়: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের একমাত্র বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্র নয়। এটা একটা অংশ শুধু। আমরা পত্রিকা, টেলিভিশনেও বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকি। তবে আমরা চেষ্টা করি গুজব থেকে দূরে থাকতে। আমাদের পেইজ থেকে যাতে কোন বিতর্ক না আসে সে জন্য আমরা খুবই সতর্ক থাকি। যে মিডিয়াতেই আমরা থাকি না কেন, আমরা অত্যন্ত সতর্ক থাকি।

&dquote;&dquote;বিডি২৪লাইভ: কোন কোন সংবাদমাধ্যম বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য নেতিবাচক খবর তৈরি করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনারা কি এমন বিষয় কখনও মোকাবেলা করেছেন?
হিন্দোল রায়: সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের একটি বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অন্য কারও পরিপ্রেক্ষিতে আমার কথা বলা উচিত হবে না। তবে আমি আকিজ গ্রুপের পরিপ্রেক্ষিতে বলতে পারি, আকিজ সম্পর্কে সংবাদপত্র যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল তেমনি আমরাও মিডিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা এমন কিছু করি না যাতে সেটা নিয়ে নিউজ করা যায় এবং তারাও অযৌক্তিক দাবি নিয়ে আসেন না।

বিডি২৪লাইভ: আকিজ গ্রুপে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কতজন মানুষ কাজ করে?
হিন্দোল রায়: আকিজ ফুডে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার জন যুক্ত। পরোক্ষভাবে যদি আমি বলি, এটা সর্বনিম্ন ছয় থেকে সাতগুণ হবে।

বিডি২৪লাইভ: বাংলাদেশ ছাড়াও আপনাদের পণ্য সামগ্রী কত দেশে রপ্তানি হচ্ছে?
হিন্দোল রায়: জুসই রপ্তানি বেশি হয়। এছাড়া আরও অনেক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। ভারত, কাতার, মালয়েশিয়া, কেনিয়া, নাইজেরিয়াসহ ৩৫টা দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি হয়।

বিডি২৪লাইভ: বছরে কত টাকার পণ্য রপ্তানি করেন?
হিন্দোল রায়: প্রত্যেক বছরে ১৭০ থেকে ১৮০ কোটি টাকার পণ্য আমরা রপ্তানি করি। এটা বছর-বছর বাড়ছে।

বিডি২৪লাইভ/এসএইচআর/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: