আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে হানিফ সংকেত যা লিখলেন

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৩২ এএম

কিংবদন্তি ব্যান্ড সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে শোকাহত গোটা দেশ। শুধু দেশেই নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও তার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত।

প্রিয় শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে হারিয়ে সবার হৃদয় এখন হারানোর শোকে ব্যথাতুর। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রায় সব শ্রেণি পেশার মানুষ।

এই কিংবদন্তিকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ মিডিয়া পাড়াও। খ্যাতিমান এই মানুষটির মুত্যুতে কাছের মানুষ সহ অনেকই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে অনেক রকমের লিখা লিখেছেন।

অনেকের মতোই আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে আরেক জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেতও লিখেছেন অনেক কিছুই।

হানিফ সংকেতের সেই ফেসবুক স্ট্যাস্টাসটি বিডি২৪লাইভের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল-

হানিফ সংকেত তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চোখ মেললেই জীবন, চোখ বন্ধ করলেই আর জীবন নেই, জীবনের রংটাই এমন’, কথাটি আমার নয়, আইয়ুব বাচ্চুর। জীবন সম্পর্কে নিজের উপলব্ধি বর্ণনা করতে গিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে এই উক্তিই করেছিলো বন্ধুবর আইয়ুব বাচ্চু।

অনেক কষ্ট হলেও যার নামের আগে এখন লিখতে হবে প্রয়াত। সেই আশির দশকের শুরু থেকেই বাচ্চুর সঙ্গে সম্পর্ক। তখন বাচ্চু সঙ্গীত শিল্পী ছিল না। জনপ্রিয় ব্যান্ডদল সোলসের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল। দুর্দান্ত গিটার বাজাত। গিটারে ওর হাতের সঞ্চালন দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। মনে মনে ভাবতাম বিদেশে এ ধরণের যন্ত্রশিল্পী থাকলে তার খ্যাতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তো। শুধু গিটারের ঝংকারই নয়, সঙ্গীত শিল্পী হিসাবেও বাচ্চু ছিল সফল এবং জনপ্রিয়।

বাচ্চু ছিল আমার অবসরের সঙ্গী। দেখা হতো কম, কথা হতো বেশি। ও ব্যস্ত থাকতো আমিও ব্যস্ত। আমরা থাকতাম পাশাপাশি বাড়িতে। আগে ছিল মগবাজার। হঠাৎ একদিন ফোন করে বললো, ‘আমি তোর পাশে এসেছি’। অবাক হলাম শুনে। তখন বললো এখন থেকে সে ধানমন্ডিতে আমার প্রতিবেশী। পরদিনই স্বপরিবারে বাসায় এলো। অনেক গল্প হলো। ওর প্রাণ খোলা হাসিটা কখনোই ভুলতে পারবো না।

আমাদের মধ্যে একটি আত্মিক যোগাযোগ ছিল। ওকে আমি কখনোই গম্ভীর থাকতে দেখিনি। মৃত্যুর একদিন আগেও রংপুরে অনুষ্ঠান করে এসেছে। কে জানতো পরদিনই বাচ্চু আমাদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যাবে না ফেরার দেশে। আসলেই আইয়ুব বাচ্চু বেশ অসময়েই চলে গেলো। বাচ্চুর এই অকাল প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বাচ্চুর আত্মার শান্তি কামনা করছি।

&dquote;&dquote;উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

তার মৃত্যুতে দেশের সঙ্গীত অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সঙ্গীত জীবনের দীর্ঘ চার দশকে অসংখ্য হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গান তিনি উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। তার সৃষ্টি অনেক গান মানুষের আন্তরে গেঁথে আছে।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: