বিএনপির সঙ্গে ড. কামালের ঐক্য, যা বললেন তোফায়েল আহমেদ

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৫৩ পিএম

বিএনপির মত একটি ‘স্বাধীনতা বিরোধী দল’, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত, এমন একটি দলের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের ঐক্যকে ‘একটি অশুভ ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। 

রোববার (২১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে বিএনএফের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের (ঢাকা-১৭) উত্থাপিত এ বিষয়ক বক্তব্যের জের টেনে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে খুনের সঙ্গে জড়িত, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত, যাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে, যারা ফাঁসির আসামী, ফাঁসি হয়েছে, তাদের সাথে ঐক্য করে বর্তমানে যে দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন ড. কামাল হোসেন তা নিয়ে আমাদের কিছু বক্তব্য আছে। 

তোফায়েল বলেন, এটা একটি অশুভ ঘটনা ঘটতে চলেছে। জাতীয় সংসদের ২৫ আক্টোবরের মধ্যে কোন একটি তারিখে সময় নিয়ে আমরা তার এ ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে চাই। এ সম্মন্ধে বলার মত আমাদের অনেকেই রয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতেৃত্বে দেশ স্বাধীন করতে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছে। প্রিয় মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে। অনেক মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করা হয়েছে, এই সেই বাংলাদেশ। জাতীর জনক দেশে ফিরে এসে আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে এই সংবিধান উপহার দেন। সেই সংবিধানে রাষ্টীয় ৪টি মূল নীতি উল্লেখ করা হয়েছে। এ চারটি মূল নীতির অন্যতম হলো- জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা। 

এখানে ড. কামাল হোসেনের নাম এসেছে, তিনি নিজেকে সংবিধান প্রণেতা হিসেবে দাবি করেন। অনেকে তাকে সংবিধান প্রণেতা হিসেবে বলেন। আমরা সেই গণপরিষদের সদস্য ছিলাম। সেই সংবিধানে আমাদের স্বাক্ষর আছে। যিনি এই সংবিধান প্রণেতার দাবি করেন তিনি কি করে সংবিধান পরিপন্থী কার্যকারণে বিশ্বাস করেন। যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। যারা ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত, যারা সাজা প্রাপ্ত, যাদের ফাঁসি হয়েছে, ফাসির আসামী। একটা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয় তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। তার সাথে কি করে ড. কামাল ঐক্য করেছেন, এ ব্যাপারটা আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো। আমরা হোম ওয়ার্ক করে এ ব্যাপারটা আলোচনা করবো। 

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ড. কামাল একবার নির্বাচনে জেতেন বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া সিটে, তাও ভোটে নয় বিনা ভোটে। ‘৮৬ তে তাকে মনোনয়ন দিলেও তিনি হেরে যান। এটা বড় কথা নয়। হার জিত আছে। কিন্তু একটা অশুভ ঘটনা হতে চলেছে, আমরা এ বিষয়ে আপনার সাথে আলোচনা করে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এক নাগাড়ে ১০টি বছর কি উন্নয়ন করেছেন, দেশে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কি উজ্জ্ব করেছেন তা নিয়েও আলোচনা করবো। তবে এসময় সংসদের সভাপতিত্বে থাকা স্পিকার ড. শিরীর শারমিন চৌধুরী কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।

বিডি২৪লাইভ/এআই/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: