যে শর্তে অনুমতি পেল ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’
নাটকীয়ভাবে সিলেটে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’। তবে ২টা থেকে ৫টার মধ্যে কর্মসূচি শেষ করাসহ ১৪ টি শর্তে এই অনুমতি মিলেছে।
রোববার (২১ অক্টোবর) ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন নবগঠিত রাজনৈতিক জোটকে আগামী ২৪ অক্টোবর সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)।
এর আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে দুই দফায় আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয় সিলেট বিএনপি। গত ১৭ অক্টোবর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ ২৩ অক্টোবর সিলেট রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে। পরদিন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিয়া ফোনে বিএনপি নেতাদের অনুমতি না দেয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেন। এরপর ২৪ অক্টোবর সমাবেশের অনুমতি চেয়ে করা আবেদনও প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর ঘণ্টা দুই পর সমাবেশের এই অনুমতি দেয়া হয়।
পুলিশের দেয়া ১৪ শর্ত
১. সমাবেশস্থলে পর্যাপ্তসংখ্যক নিজস্ব পুরুষ ও নারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে।
২. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো ধরনের বক্তব্য ও বিবৃতি দেয়া যাবে না।
৩. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে কিংবা ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানে এমন বক্তব্য ও বিবৃতি দেয়া যাবে না। এমন কোনো পোস্টার, ফেস্টুন প্রদর্শন করা যাবে না।
৪. জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা যাবে না।
৫. নির্ধারিত স্থানে ও নির্ধারিত সময় বেলা ২টা থেকে ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে।
৬. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা হতে পারে এমন বক্তব্য দেয়া যাবে না। এরূপ বক্তব্য সংবলিত কোনো ব্যানার ফেস্টুন প্রদর্শন করা যাবে না।
৭. মাইক ও যন্ত্র ব্যবহারের কারণে আশপাশের লোকজনের কোনো অসুবিধা যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. ব্যাগ, সিগারেট, দিয়াশলাই ও লাইটার নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করা যাবে না।
৯. কোনো ধরনের লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র (দা, চাকু, ছুড়ি ইত্যাদি) কিংবা লাঠি সংযুক্ত ব্যানার ফেস্টুন ব্যবহার করা যাবে না।
১০. কোনো ধরনের বৈধ অস্ত্র সঙ্গে আনা এবং বহন করা যাবে না।
১১. সুরমা পয়েন্ট থেকে তালতলা পর্যন্ত কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।
১২. সমাবেশস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
১৩. উল্লেখযোগ্য শর্তাবলি একটি বা একাধিক লঙ্ঘন/অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৪. কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে সমাবেমের অনুমতি বাতিলের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
রোববার সমাবেশের অনুমোদন না দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিলেটের সমন্বয়ক আলী আহমদের পক্ষে আইনজীবী জগলুল হায়দার আফ্রিক। ড. কামাল হোসেন রিট আবেদনের শুনানিতে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সিলেটের পুলিশ কমিশনারসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। `সমাবেশের অনুমতি না দেয়া কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না’ তা জানতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।
বিডি২৪লাইভ/এসএস
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: