নির্বাচনী কর্মকাণ্ড শুরু গেয়ে গেছে

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:০৪ পিএম

দেশে সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন করবে। তাতে সবাই অংশ নেবে বলেই আমরা মনে করি। এর লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। যে ঐক্যজোট তৈরি হয়েছে, তা নির্বাচনের লক্ষ্যেই হয়েছে। বিএনপি এই জোটে অংশ নিয়েছে। ড. কামাল হোসেনকে তারা নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছে। সিলেটে সমাবেশের অনুমতি তারা পেয়েছে। এরপর তারা চট্টগ্রাম. রাজশাহী, খুলনায় যাবে। নির্বাচনী কর্মকাণ্ড তো শুরু হয়েই গেল।

সোমবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে আসবে। সেই কারণে ঐক্যজোট গঠন করা হয়েছে। এটা রাজনৈতিক জোট।

এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, কোন রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে যেতে চায় না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেটা সেই রাজনৈতিক দলের ব্যাপার। আর কোন দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় তবে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, এটা বলা যাবে না।

বৈঠকে মন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানান, নির্বাচনে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ না থাকায়, সংবিধানের ভেতরে থেকেই অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তারা বুঝতে পেরেছে ২০১৪ সালের নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছে। ২০১৫ সালের জ্বালাও-পোড়াও করাও তাদের জন্য ভুল হয়েছে এটা বুঝেই তারা সভা সমাবেশ করছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আটক-গ্রেফতার নিয়ে কথা বলেছেন। আমি বলেছি, সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে মাওলানা ভাসানীর দল অংশ নেয়নি। তারা আওয়ামী লীগকেও নির্বাচনে না যেতে বলেছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধু নির্বাচন বয়কট করেননি। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের স্বাধীনতার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ভাসানী এই নির্বাচনে আসেনি বলে আপনি সেই নির্বাচনকে অগ্রহনযোগ্য বলতে পারেন না।

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: