নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে, ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৫৮ পিএম

গণভবনে সৌদি আরব সফরের বিষয় জানাতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কমানো নাও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

সোমবার (২২ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ইঙ্গিত দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট করা হলে উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আর তাছাড়া বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের মন্ত্রী আছে।

মন্ত্রীসভা ছোট করে নির্বাচনকালীন সরকার এবার কখন হবে এবং তার ধরন কেমন হবে? দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট না করলে কোনো অসুবিধা আছে কি না।

প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, যুক্তরাজ্যের মত যেসব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে, কোথাও নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হয় না।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা কেন পুনর্গঠন করা হয়েছিল, সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় বিরোধী দলে থাকা বিএনপি নির্বাচনে আসতে রাজি হচ্ছিল না বলে তখন তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যে মন্ত্রণালয় চায়, সেই মন্ত্রণালয় দেয়া হবে বলেছিলাম। তারা যখন আসেনি, তখন বিভিন্ন দলগুলো নিয়ে ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা (দশম সংসদ নির্বাচনে) মেজরিটি পাওয়া স্বত্ত্বেও প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো থেকে মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। এই মন্ত্রিসভায় জনগণের প্রতিনিধি যারা, তারা আছেন। যেহেতু সব দলের প্রতিনিধি আছে, জানি না এটাকে ছোট করার দরকার আছে কিনা। কাটছাঁট করা হবে কিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা ছোট করা হলে একজনকে কয়েকটা মন্ত্রণালয় চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দুই তিন মাসের জন্য থমকে যেতে পারে। এ বিষয়গুলোও ভাবতে হবে।

এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা ও ১১ কর্মসূচি নিয়েও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি ও লক্ষ্য নিয়ে বসতে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়া হবে বলে জানা গেছে, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি বা আলোচনায় বসবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও কারও কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি, আগে পাই তারপর দেখা যাবে।

এ সময় তিনি বলেন, ড. কামাল কাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন সেটা আগে দেখতে হবে। যারা মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত, যারা এতিমের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত, যারা দণ্ডপ্রাপ্ত এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ড. কামাল।

যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, যারা আগুন দিয়ে নিরীহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তারাই এই গ্রুপে রয়েছে। এরা সবাই এক হয়েছে তাদের রাজনীতিটা কোথায়? প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।

ড. কামাল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির দায়ে যারা অভিযুক্ত হয়েছেন তাদের সঙ্গে নিয়ে এক হয়েছেন ড. কামাল। তিনি তো সংবিধান প্রণেতা, সংবিধান তৈরি করেছেন। তিনিই তো ৭২ এর সংবিধান মানেন না।

তিনি বলেন, আমি ক্ষমতায় থাকাকালে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি, কাজ করছি, সারাজীবন কাজ করে যাব। বাংলাদেশের জনগণ যদি চাই তাহলে আবারও ক্ষমতায় আসব এবং জনগণ না চাইলে ক্ষমতায় আসব না। জনগণ যা চাইবে তাই হবে।

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: