স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
ফেনী শহরের একাডেমি এলাকার আতিকুল আলম সড়কের খাদেমের ভাড়া বাসা থেকে হাসনাত আরা রিম্পা (১৯) নামে এক গৃহবধূকে স্বামী কর্তৃক হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ফেনী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত রিম্পার মা মাসুদা বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ছাগলনাইয়া পৌর এলাকার বাঁশপাড়ার সৌদি প্রবাসী মো. শাহ আলমের মেয়ে ও ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের অনার্স ১ম বর্ষ পড়ুয়া হাসনাত আরা রিম্পার সাথে একই উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের নিজকুঞ্জরা সমিতি বাজার এলাকার নুরের নবীর ছেলে মো. নোমান রায়হানের (২৫) সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
রিম্পার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলে নোমান রায়হান খবর পেয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে রিম্পাদের বাড়িতে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে নিজেসহ সহযোগীদের দিয়ে জোরপূর্বক রিম্পাকে তুলে এনে চলতি মাসের ৫ তারিখে বিয়ে করে। পরে তারা ফেনী শহরের আতিকুল আলম সড়কে বাসা ভাড়া নিয়ে ওখানে বসবাস করছিল।
মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় পাশের বাসার লোকজন ওই বাসায় কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজায় আঘাত করতে থাকে এতেও কোন আওয়াজ না আসায় তারা পুলিশে খবর দেয়। ফেনী মডেল থানার এস.আই দুলালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে রিম্পার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পর থেকে মো. নোমান রায়হান ও তার পিতা নুরের নবী পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের মা মাসুদা বেগম অভিযোগ করেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে নোমান তাদের বাড়ি থেকে রিম্পাকে জোরপূর্বক তুলে আনার পর তারা ছাগলনাইয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এরপর অজ্ঞাত স্থানে মেয়েকে নিয়ে গিয়ে নোমান বসবাস শুরু করলে মাঝে মধ্যে মেয়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ হতো এবং তাদের উভয়ের বিয়ে হয়েছে বলে জানা যায়।কোন উপায় না দেখে তাদের পরিবার থেকে উভয়ের বিয়ের আয়োজন নিয়েও কথাবার্তা চলছিল।
কিন্তু এর মাঝেই যৌতুকের জন্য নোমান ও তার পরিবারের সদস্যরা হাসনাত আরা রিম্পার উপর নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের ঘটনা মা-বাবাকে জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামী নোমান তাকে হত্যা করেছে।
এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে নোমান ও তার পরিবারের সদস্যদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।
বিডি২৪লাইভ/এমকে
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: